বৃদ্ধ জিহাদের ফুলে সুবাসিত শিশুরাও
প্রকাশ : ২৬ জুন ২০২৩, ১৯:০৬
বৃদ্ধ জিহাদের ফুলে সুবাসিত শিশুরাও
রাজশাহী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ফুল ভালোবাসে না, এমন মানুষ হয়ত পাওয়া যাবে না। সে কারণে প্রকৃতি ও সৌন্দর্যপিয়াসী প্রত্যেক মানুষ তাদের বাড়ির আঙিনা বা ছাদে ফুল চাষ করে থাকেন। কেউবা আবার ফুলের গাছ টবে লাগিয়ে বাড়ির ছাদ বা বারান্দায় রাখেন। কেউ কেউ এ ফুল বিক্রি করেই সংসার চালান। তবে প্রকৃতির ফুলের পাশাপাশি কাগজের ফুল, ফুল সোলার ঘূর্ণি, ফেরি করে বিক্রয় করেও চলে অনেকের সংসার।


তাদের মধ্যে বৃদ্ধ জিহাদ একজন। ৬০ বছরের এই বৃদ্ধ বয়সের ভারে নুয়ে গেলেও কাজ ছাড়েননি। বৃদ্ধ জিহাদের দেখা মেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর ইউনিয়নের মধ্যে অবস্থিত চাইল্ড কেয়ার অ্যাকাডেমির সামনে৷ নার্সারি থেকে শুরু করে পঞ্চম শ্রেণির কমলমতি শিশুদের হাতে ফুল, ফুল সোলার দিয়ে তৈরি ঘূর্ণি ১০ টাকার বিনিময়ে তুলে দিচ্ছেন। বাচ্চারাও ভীষণভাবে খুশি৷ চোখে-মুখে তাদের আনন্দের ছড়াছড়ি।


সারাদেশেই চলে তার এই ফুল বিক্রয়ের কার্যক্রম। ফেরি করে ফুল বিক্রি করেই চার সদস্যের সংসার চালাচ্ছেন।


জিহাদ আলীর বাড়ি নওগাঁর আত্রাই উপজেলার জাম গ্রামে। তিনি মৃত ময়েন আলীর ছেলে। শিক্ষা জীবনে কখনো প্রাথমিক শিক্ষাও ছুঁয়ে দেখেননি বৃদ্ধ। সংসারে তার চারটাই ছেলে সবাই একই কাজ করে বলে জানান তিনি৷ ছেলেরাও সবাই একই কাজ করেন৷ তাদের বিভিন্ন সময়ের আয় রোজগার ভিন্ন রকম হয়৷ জিহাদ কখনো পাঁচশত টাকা কখনো সাতশত টাকা আবার কখনো একহাজার টাকার ফুল বিক্রয় করেন। তবে ভালো কোনো স্কুল পেলে দিনে দুই হাজার টাকারও ফুল বিক্রয় হয় তার৷ স্কুলের কমলমতি বাচ্চাদের কাছে কাগজের ফুল বিক্রয় করেন দশ টাকা মূল্যে। অনেক সময় অন্যের জমিতে কৃষিকাজও করতে হয় বৃদ্ধ জিহাদের৷


জিহাদ বলেন, ‘প্রতিদিন ভোরে বের হই, ফেরি করে ৫০০-৭০০-১০০০ হাজার আবার ভালো স্কুল পেলে ২০০০ হাজার টাকারও ফুল বিক্রি করি। অনেক সময় অন্যের জমিতে কাজ করেও সংসার চালাতে হয় বলে জানান এই ফেরিওয়ালা জিহাদ।


বিবার্তা/সোহানুর/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com