সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু আসা নিয়ে শঙ্কায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারিরা
প্রকাশ : ১৬ জুন ২০২৩, ১৯:০৪
সীমান্ত দিয়ে চোরাই গরু আসা নিয়ে শঙ্কায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খামারিরা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন খামারে চলছে কোরবানির পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের কাজ। খামারিরা জানান গো খাদ্যের উর্ধ্বগতিতে বেড়েছে খামারের ব্যয়। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে চোরাইভাবে গরু আসা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা।


জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামারিদের স্বার্থ বিবেচনায় অবৈধ পথে পশু বিক্রি বন্ধে পদক্ষেপ নেয়ার কথা। অন্যদিকে প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, দেশীয় পশু দিয়েই স্থানীয়ভাবে কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার। জেলার বিভিন্ন খামারে কোরবানির জন্য প্রস্তুত লক্ষাধিক গবাদি পশু। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত পশু দিয়েই জেলার চাহিদা মিটবে বলে আশা করছেন খামারিরা।


এ জেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ১৫ হাজার খামারে প্রাকৃতিক উপায়ে পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের কাজ করছেন। প্রতিটি খামারে ছোট, মাঝারি ও বড় সবধরণের কোরবানির পশু রয়েছে।


খামারিরা জানান, গো খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে খামারের ব্যয়। ইতিমধ্যে গোখাদ্যের দাম বেড়েছে শতকরা ৩০ ভাগ। প্রতি কেজি ভুট্টার ভুসি আগে ২৬ টাকায় বিক্রি হলেও এখন দাম বেড়ে ৩৮/৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। সাইলেজ প্রতি কেজি ৭/৮ টাকা থেকে বেড়ে ১০/১২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিটি গরু আগে ৭/৮ হাজার টাকায় লালনপালন করা গেলেও এখন তা বেড়ে দাড়িয়েছে ১৪/১৫ হাজার টাকায়। বাড়তি খরচ বহন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে খামার মালিকরা। তবে এবার প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে অবৈধ পথে কোরবানির পশু আসা রোধ করতে পারলে ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আশা করছেন।


এদিকে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, খামারিকে গবাদি পশু হৃষ্টপুষ্ট করণের উপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এছাড়া স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে উপজেলা পর্যায়ে উঠান-বৈঠক করে খামারিকে হাতে কলমে সচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।


খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় অবৈধ পথে আসা কোরবানির পশুর বিক্রয় বন্ধে হাটগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর কথা জানালেন, জেলা পুলিশ সুপার মো. শাখাওয়াত হোসেন।


জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. কাজী নজরুল ইসলাম জানান, কোরবানির জন্য প্রয়োজনীয় পশু প্রস্তুত থাকার কথা জানিয়ে হৃষ্টপুষ্টকরণে ক্ষতিকর স্টেরয়েডের ব্যবহার রোধে খামারিদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানা পদক্ষেপে নেয়া হয়েছে। এছাড়া খামারিদের স্বার্থ রক্ষায় সংশ্লিষ্টরা তৎপর হবেন এমনটাই প্রত্যাশা।


বিবার্তা/নিয়ামুল/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com