
রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ কবি, সাহিত্যিক, নাট্যকার, নির্মাতা, সংগ্রাহক, গবেষকসহ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা সাংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে তথ্য-প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে। শনিবার (১৮ মার্চ) তিনি বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ভাষণে এ আহবান জানান।
তিনি বলেন, গ্রাম-শহর নির্বিশেষে তথ্য-প্রযুক্তি এখন সবার জীবনে প্রভাব ফেলেছে। তথ্যের অবাধ প্রবাহের ফলে সারা বিশ্ব একটি গ্রামে পরিণত হয়েছে। ফলে আকাশ সংস্কৃতি এখন বাস্তবতা। বিভিন্ন দেশ ও জাতির সংস্কৃতিতে এর প্রভাবও দ্রুত বিস্তার করছে। সাংস্কৃতিক চিন্তা-চেতনা ও ধ্যান-ধারণাও বদলাচ্ছে একই গতিতে।
"তাই আকাশ সংস্কৃতির ডামাডোলে গা ভাসিয়ে দিলে চলবে না। সারাদেশে আমাদের সাংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদান ছড়িয়ে রয়েছে। তথ্য-প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে এগুলোকে সংগ্রহ করে দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে দিতে হবে। আর তা হলেই বহির্বিশ্বে আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফুটে উঠবে," তিনি বলেন।
'নতুন প্রজন্মকে ইতিহাস ও ঐতিহ্য সচেতন করে তোলার দায়িত্ব আমাদেরই' উল্লেখ করে, হামিদ বলেন, আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতিসহ সুষম উন্নয়নের জন্য সৃজনশীল ও মেধাসম্পন্ন জনবল অপরিহার্য। আলোকিত মানুষেরাই পারে সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে।
"যদি আমাদের সন্তানদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, বেদনা আর অহংকারের বিষয়গুলোর সাথে পরিচয় করিয়ে না দিই, তাহলে তারা আত্মমর্যাদাসম্পন্ন সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে না," তিনি আরো বলেন।
তিনি প্রচলিত শিক্ষার পাশাপাশি তাদের শিকড়ের সন্ধান দেয়ার পাশাপাশি গৌরবদীপ্ত অতীতের কথাও জানানো তাগিদ দেন।
বিবার্তা/ সানজিদা/এনএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]