গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থেকে রানীশংকৈল যাওয়ার পথে অটোরিকশা সহ নিখোঁজ হন সাইফুল ইসলাম (১৪)৷ সাইফুলের সন্ধান না পেয়ে তার দাদা মুনসেফ আলী (৫৮) হরিপুর থানায় একটি জিডি করেন। থানায় জিডি করার পাচঁদিন পর, শনিবার (৪ মার্চ) দুপুরে পাশের উপজেলা রানীশংকৈল রামরায় দিঘির পাশে একটি ভুট্টা ক্ষেতে তার অর্ধগলিত লাশ দেখে পুলিশকে খবর দেয় স্থানীয়রা।
নিহত কিশোর হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গিপাড়া ইউনিয়নের দামোল পাড়া গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে। পরিবারের অভিযোগ জিডি করা হয় সদস্যকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধারের জন্য। কিন্তু জীবিত তো দূরের কথা প্রাণহীন ভাবে পেলাম সদস্যটিকে। মিসিং ডায়েরি করার পর পুলিশ নিখোঁজের বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি বলে সাইফুলকে লাশ হতে হলো।
তবে হরিপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগ সঠিক নয়। আমরা নিখোঁজের অভিযোগ পেয়ে সাইফুলকে উদ্ধারের চেষ্টা করেছে পুলিশ। নিহতের পরিবার জানায়, গত মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় অটোরিক্সা নিয়ে রাণীশংকৈল যায়। এর পর থেকে সে আর বাড়ি ফিরেননি। পরিবার থেকে হরিপুর থানায় জিডি করি। আজ শুনতে পায় তার লাশ ভুট্টা ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ যদি অভিযোগটা গুরুত্ব দিতো তাহলে সাইফুলকে আজ লাশ হতে হতোনা।
নিহতের দাদা মুনসেফ আলী বলেন “গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অটোরিকশা নিয়ে বাইরে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সাইফুল। আজ দুপুরে লোকমুখে জানতে পারি রামরায় দিঘির পাশে ভুট্টা ক্ষেতে এক কিশোরের মরদেহ পাওয়া গেছে। এখানে এসে নাতির লাশ শনাক্ত করি। নিখোঁজের দিন রাতেই আমি থানায় জিডি করেছি। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্ব দেয়নি। গুরুত্ব দিলে আমার নাতিটাকে এভাবে মরতে হতোনা। এখানে পুলিশের গাফিলতি আছে। পুলিশের গাফিলতির জন্যই আমার নাতি লাশ হলো।
বিবার্তা/রেদওয়ানুল/নয়ন/এমএ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]