কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় একুশের প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্জনের আনুষ্ঠানিকতায় মঞ্চ থেকে ফুল দেয়ার নাম ঘোষণার সময় সাবেক এমপি ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল হক চৌধুরীর নাম ঘোষণা ধারাবাহিকতা অনুসারে করা না হওয়ায় এই হট্টগোলের সূত্রপাত হয়। 

নিজেদের নেতাকে প্রাপ্য সম্মান না দেয়ার অভিযোগ তুলে আয়োজক ও সঞ্চালকের ওপর চড়াও হয় রেজাউল হক চৌধুরীর কর্মী সমর্থকেরা। 

কুষ্টিয়া-১(দৌলতপুর) আসনের সংসদ সদস্য এ্যাডভকেট সরওয়ার জাহান বাদশাহ এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। এমপির সঙ্গীয় লোকজন ও ব্যক্তিগত নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ তাঁকে সরিয়ে নেন।

শহীদ মিনারে হট্টগোলের সৃষ্টি হলে দৌলতপুর থানা পুলিশ ও ইউএনও আব্দুল জব্বার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসা ব্যক্তিরা এই অব্যবস্থাপনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করে ইউএনও আব্দুল জব্বারকে দায়ি করেন।

সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ এমপি গণমাধ্যমকে বলেন, বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কিছুটা হৈ-চৈ হয়েছে, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রায় ৬শ' মোটরসাইকেল ও অন্যান্য যানবাহনে করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে শহীদ মিনারে যায়। এসময় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাকে অপেক্ষা করতে বলা হয়। আমি গাড়ির ভিতর বসে ছিলাম। দীর্ঘ সময় পার হয়ে যায়, ফুল দেয়ার জন্য  মাইকে অনেকের নাম ধরে ডাকা হয়। কিন্তু আমার নাম ঘোষণা করা হচ্ছিলো না। এটা আসলে দুঃখজনক।  এমতাবস্থায় হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পরে আমার নাম ঘোষণা করা হয়। আমি ফুল দিয়ে চলে আসি।

এ বিষয়ে দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে হালকা হট্টগোলের ঘটনা ঘটেছিলো। পরে সকলের সহযোগিতায় দ্রুত স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফেরানো সম্ভব হয়েছে।

বিবার্তা/তুহিন/এসবি