আগামীকাল ২১শে ফেব্রুয়ারি, মঙ্গলবার জজ এম. এ শহীদুর রহমানের ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৪ সালের এই তারিখে মাত্র ৫৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী জারিফা রহমানসহ এক পুত্র ও দুই কন্যাসন্তান রেখে যান।
এম. এ শহীদুর রহমান জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গায় দক্ষতা, বিচক্ষণতা এবং ন্যায়পরায়ণতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। তিনি শুধু বিচারিক ক্ষেত্রেই অবদান রাখেননি, নিজ গ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বহু মসজিদ-মাদরাসা এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। বিশেষ করে তার নিজ এলাকায় ‘কোরআনে হাফিজিয়া ইসলামিক শিক্ষা’ নামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন, যা ওই এলাকায় ইসলামি শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রেখে চলেছে।
এম. এ শহীদুর রহমানের জন্ম ১৯৪৭ সালের ৫ জানুয়ারি নড়াইল জেলার বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। শিক্ষাজীবনে তিনি দারিয়া বিদ্যালয় ও ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। সফলতার সঙ্গে পড়াশোনা শেষ করে ১৯৭৮ সালে তিনি বিচারক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে গোপালগঞ্জ, সাতক্ষীরা ও চুয়াডাঙ্গায় মেধার স্বাক্ষর রাখেন।
১৯৯৫-৯৬ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত রেজিস্টার পদে দক্ষতার সহিত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার কার্যক্ষেত্রের মধ্যে আরও রয়েছে ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজের দায়িত্ব পালন। দ্য কোর্ট অব সেটেলমেন্টের দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ইন্তেকাল করেন এম. এ শহীদুর রহমান।
শহীদুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তার নিজ এলাকায় বিভিন্ন মসজিদ ও মাদরাসায় দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া কাকরাইল মসজিদে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হবে।
বিবার্তা/জামাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]