সোশ্যাল মিডিয়ার বদৌলতে প্রভাবশালী শিশু ধর্ষকের বিরুদ্ধে কক্সবাজারের মহেশখালী থানায় অবশেষে মামলা রুজু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে মহেশখালীর কালামারছড়ার চালিয়াতলীতে।
৭ বছরের স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার প্রচেষ্টা ও নানা দেন দরবার উপেক্ষা করে ধর্ষকের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে।
জানা যায়, গত ২২ জানুয়ারী রবিবার রাত ৯টার দিকে ১ম শ্রেণির এক ছাত্রী (৭) ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটি নিজ বাড়ির উঠানে বের হলে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা পার্শ্ববর্তী মুরগী ফার্মের মালিক মোহাম্মদ এমরান ( ২০) ওই শিশুটিকে ঝাপটে ধরে জোরপূর্বক মুরগি ফার্মে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর শিশুটি ধর্ষকের হাত থেকে ছাড়া পেয়ে ভয়ে দৌঁড়ে বাড়িতে চলে যায়। ওই শিশুর বড় বোন জানান, ধর্ষক ও তার সহযোগীরা কিছু বুঝে উঠার পূর্বে শিশু মেয়েটিকে ধরে নিয়ে যায় এবং জোরপুর্বক গোসল করিয়ে ধর্ষনের আলামত নষ্ট করে।
এই ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষকের দুলাভাইসহ প্রভাবশালীরা চাপ দিতে থাকে ভিকটিমের পরিবারকে। ভিকটিমের বোন আরো জানান, ধর্ষকের বোনজামাই চালিয়াতলীর স্ক্র্যাপ ব্যবসায়ী লিয়াকত আলীসহ কয়েকজন লোক আমার বাড়িতে এসে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলেন এবং এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে কোন খবর যাতে না যায় সেজন্য হুশিয়ার করে হুমকি দিয়ে যান।
এরপর বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য উঠেপড়ে লাগে। শিশুটির মা-বাবাকে ম্যানেজের চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে, সেই সাথে এ ঘটনা কাউকে না জানাতে লাগাতার প্রাণ নাশের হুমকি দিতে থাকে।
ঘটনাটির খবর পেয়ে মহেশখালী থানা পুলিশের একটি টিম ভিকটিমের পরিবারের কাছে গেলেও ভিকটিমের পরিবার প্রভাবশালীদের ভয়ে মুখ খুলেনি প্রথমে। ধর্ষণের শিকার মেয়ে শিশুটির পিতা একজন অটোচালক হওয়ায় এবং ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় মুখ খুলেনি বলে সুত্রে প্রকাশ। এই ঘটনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জনৈক ব্যক্তির একটি অডিও রেকর্ড় ফাঁস হলে ভিকটিমের পরিবার, স্হানীয় সচেতন মহলসহ এলাকাবাসী ক্ষোভে ফুসে ওঠে। এরপর প্রশাসনসহ সবাই তৎপর হয়ে উঠে। ২৬ জানুয়ারি শিশুর পিতা বাদী হয়ে ধর্ষক মোহাম্মদ এমরান (২০), পিতা এনামুল হক বাদশাকে আসামি করে (৯) (১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মহেশখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শাহাদত হোসেন জানান, ধর্ষকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। যেখানেই অবস্থান করুক না কেন শীঘ্রই আইনের আওতায় আনা হবে।
বিবার্তা/তাফহীমুল/জেএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]