দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার মধ্য আঙ্গারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই স্কুলের ছাত্রীদেরকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২৫ জানুয়ারী) বিকেলে ভুক্তভোগী ঐ স্কুলের ছাত্রীদের অভিভাবকরা খানসামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন৷

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ৪২নং মধ্য আঙ্গারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মাহমুদ (৫৩) দীর্ঘদিন ধরে অসৎ চরিতার্থের নিমিত্তে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করে আসছেন। পাঠদানের অজুহাতে বিভিন্ন উছিলায় ছাত্রীদেরকে অশ্লীল ভিডিও দেখানো ও যৌন হয়রানি করেন তিনি। ভুক্তভোগী ছাত্রীরা এসব অপকর্মের কথা অভিভাবকদের জানাতে চাইলে মারধর ও পরীক্ষায় ফেল করে দেওয়ার হুমকি দেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, শ্লীলতাহানির ঘটনা ছাত্রীদের মাধ্যমে অভিভাবকরা জানতে পারলে ২৩ জানুয়ারী প্রধান শিক্ষককে মৌখিক ভাবে অবহিত করে বিচার দাবি করেন তারা। তবে এতেও কোন সুরাহা না হওয়ায় তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর অভিযোগ দেয়। এছাড়াও ইতিপূর্বে অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের কথা খোঁজ নিয়ে শোনা যায়।

ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর অভিভাবক মাসুম ইসলাম বলেন, আমরা দিনমজুর মানুষ শিক্ষকের ওপর ভরসা করেই বাচ্চাকে স্কুলে রেখে কাজে যাই। কিন্তু শিক্ষকের কাছে ছাত্রীরা নিরাপদ না থাকায় আমরা হতবাক ও লজ্জিত। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম মাহমুদের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপী চাঁদ রায় বলেন, শ্লীলতাহানির বিষয়ে ছাত্রী ও অভিভাবকদের লিখিত অভিযোগ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। তারা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

এবিষয়ে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার অনুপম ঘোষ বলেন, এমন অভিযোগ আসলেই দুঃখজনক। ঘটনাটি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

ইউএনও রাশিদা আক্তার বলেন, লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা বিভাগকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।

বিবার্তা/জামান/জেএইচ