এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামীর টানাটানি, তারপর...
প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ২৩:৪০
এক স্ত্রীকে নিয়ে দুই স্বামীর টানাটানি, তারপর...
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

দুই বধূ এক স্বামীকে নিয়ে স্ত্রীদের টানাটানি সিনেমাতেই দেখা যায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল এর উল্টো। এক স্ত্রীকে নিয়ে শুরু হয়েছে দুই স্বামীর টানাটানি। হয়েছে হাতাহাতিও। এমন এক অদ্ভূত কাণ্ড ঘটেছে সিলেটে।


গত ১৮ জানুয়ারি, বুধবার বিকেল ৫টায় মহানগরের লামাবাজারস্থ আয়েশা মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ ঘটনা ঘটে।


পরে প্রথম স্বামী দাবিদার যুবক ওই নারী ও তার ‘দ্বিতীয় স্বামীকে’ ধরে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) এক সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে নিয়ে যান।


জানা যায়, কুমিল্লা জেলার দেবিদ্দার থানার শাহজাহান মিয়ার মেয়ে আইরিন সুলতানাকে (৩৫) ১৯ বছর আগে বিয়ে করেন চাঁদপুর জেলার শাহারাস্তি থানার বাদিয়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে মো. খোকন মিয়া (৪৫)। বিয়ের পর একে একে তাদের ঘরে জন্ম হয় চার সন্তানের। একপর্যায়ে তিনি স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সিলেটে আসেন।


পরে ২০১৯ সালের শুরুতে চলে যান মালদ্বীপ। এরপরই সুলতানা বিভিন্নজনের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়ান। একপর্যায়ে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার কাউয়াদি গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে কবির হোসেনের (৩৬) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে সুলতানার। ১৫ মাস আগে সিলেটে কোর্ট ম্যারেজও করে ফেলেন কবির এবং সুলতানা। চার সন্তান ও স্বামী খোকনের সংসার ছেড়ে চলে সুলতানা যান কবিরের ঘরে। কবিরের সঙ্গে বিয়ের সময় সুলতানা নিজেকে তালাকপ্রাপ্তা উল্লেখ করেন।


খবর পেয়ে দেশে ফিরে হন্য হয়ে সুলতানাকে খুঁজতে থাকেন খোকন। অবশেষে বুধবার বিকেল ৫টায় সিলেট মহানগরের লামাবাজারস্থ আয়েশা মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতালের সামনে রাস্তায় সুলতানাকে খোকন পেয়ে যান। এসময় তার বর্তমান স্বামী কবিরও সঙ্গে ছিলেন। কবির হোসেন দক্ষিণ সুরমার কদমতলিস্থ ড্রাইভার রেস্টুরেন্টের বাবুর্চি। বিয়ের পর সুলতানাকে তিনি আয়েশা মেডিকেয়ারে আয়া’র চাকরি পাইয়ে দেন।


এদিকে, বুধবার বিকেলে আয়েশা মেডিকেয়ার জেনারেল হাসপাতালের সামনের রাস্তায় সুলতানা ও কবিরকে পেয়ে পাকড়াও করেন খোকন। এসময় তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা এবং হাতাহাতি হয়। পরে খোকন ও তার সঙ্গীরা এ দুজনকে ধরে শাহজালাল উপশহরের তেররতনে নিয়ে যান। সেখানে একটি বাসায় খোকন সন্তান ও তার বোনকে নিয়ে থাকেন। পরে খোকন বিষয়টি নিয়ে সিসিকের ২২, ২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রেবেকা আক্তার লাকীর দ্বারস্থ হন। লাকি পরে এ তিজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেন।


এদিকে, শাহ পরাণ থানা পুলিশ এ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে মূল ঘটনা কোতোয়ালি থানাধীন এলাকায়। পরে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে এ তিনজনকে কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে পাঠানোর প্রস্তুতি নেয়। তবে এসময় খোকন পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে সটকে পড়েন। পরে সুলতানা ও কবিরকে কোতোয়ালি থানায় পাঠানো হয়।


বৃহস্পতিবার সারাদিন গড়িয়ে গেলেও খোকনের আর খোঁজ পাওয়া যায়নি কিংবা তিনি থানায় এ দু’জনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগও দায়ের করেনি। পরে বৃহস্পতিবার বিকেলে কোতোয়ালি থানা পুলিশ সুলতানা ও করিবরকে আদালতে প্রেরণ করে।


এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ওই নারীর প্রথম স্বামী দাবিদার ব্যক্তি বুধবার রাতেই শাহপরাণ থানার সামন থেকে সটকে পড়েছে। বৃহস্পতিবার সারাদিন তার কোনো খোঁজ নেই। কোনো অভিযোগও দায়ের করেননি। শেষ পর্যন্ত বাকি দু’জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালতই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।


বিবার্তা/বিএম

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com