লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বকেয়া মজুরির দাবিতে এলজিডি অফিস ঘেরাও করেন শ্রমিকরা। এ সময় তারা উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেনকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে প্রকৌশলী নজির হোসেন পাওনা টাকা দ্রুত পরিশোধ করা হবে বলে আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যায়।
রবিবার (৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা এলজিডি (প্রকৌশলী) অফিস ঘেরাও করে রাখেন বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা।
জানা যায়, উপজেলা এলজিডি (প্রকৌশলী) অফিসের প্রভাতি প্রকল্পের আওতায় সিংগীমারী, গড্ডিমারী ও সিন্দুর্না ইউনিয়নে ৬টি দলে ১৫০ জন শ্রমিক মাটি কাটার কাজ করেন। ৬মাস আগে কাজ শেষ হয়েছে কিন্তু শ্রমিকরা এখনো পুরো টাকা পায়নি। বকেয়া মজুরির টাকা চাইলে প্রভাতি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার আব্দুর রাজ্জাক ও উপজেলা এলজিডি প্রকৌশলী নজির হোসেন টালবাহানা করেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে শ্রমিকরা আজ উপজেলা এলজিডি প্রকৌশলী অফিস ঘেরাও করেন। এতে করে উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেন অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রকৌশলী নজির হোসেন অতি দ্রত পাওনা টাকা পরিশোধ করা হবে বলে আশ্বাস দিলে বিক্ষুদ্ধ শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে যায়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মনছের আলী বলেন, কাজ শেষ হওয়ার ৬/৭ মাস হলো কিন্তু আমরা এখনো আমাদের মজুরির টাকা পাইনি। বকেয়া টাকা চাইলে প্রভাতি প্রকল্পের আব্দুর রাজ্জাক ও ইঞ্জিনিয়ার নজির হোসেন স্যার আজ না কাল বলে একের পর এক সময় নেয়। কিন্তু আমাদেরকে টাকা দেয় না। তাই আমরা অফিস ঘেরাও করছি। টাকা নিয়ে বাড়ি যাবো।
একই কথা বলেন আরেক ভুক্তভোগী ইব্রাহীম বলেন, আমাদেরকে অনেক দিন থেকে সময় দিয়ে তালবাহানা করা হচ্ছে। তাই আমরা অফিস ঘেরাও করেছি। ইঞ্জিনিয়ার স্যার আশ্বাস দিয়েছেন অতি দ্রুত পাওনা সব টাকা পরিশোধ করা হবে তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
প্রভাতি প্রকল্পের মনিটরিং অফিসার আব্দুর রাজ্জাক বলেন, কিছু টাকা দেওয়া হয়েছে। আর কিছু টাকা বকেয়া আছে। টাকা বরাদ্দ পেলে সব পাওনা পরিশোধ করা হবে।
হাতীবান্ধা উপজেলা প্রকৌশলী নজির হোসেন বলেন, বরাদ্দ না থাকায় কিছু টাকা বকেয়া রয়েছে। তবে তা দ্রুত পরিশোধ করা হবে।
এ বিষয়ে লাললমনিরহাট এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মঞ্জুর কাদের ইসলাম বলেন, হিসাব নিকাশ শেষে আগামী মঙ্গলবার থেকে প্রভাতি শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা হবে।
বিবার্তা/তমাল/বর্ষা/এসএফ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]