কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণির কোন শিক্ষার্থী বিনামূল্যে পাঠ্য বই পায়নি।

বছরের প্রথম দিনে শতভাগ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন পাঠ্য বই তুলে দেয়ার কথা থাকলেও চিলমারী উপজেলায় এর ব্যতিক্রম ঘটেছে। এ বছর উপজেলায় তৃতীয় শ্রেণিতে মোট পাঠ্য বইয়ের চাহিদা দেয়া হয় ৪ হাজার ২শত ৫০ সেট। কিন্তু এখন পর্যন্ত একসেট বইও উপজেলায় পৌঁছেনি।

উপজেলা শিক্ষা অফিস বলছে, চলতি বছর চিলমারী উপজেলায় সরকারি ৯৩টি, বেসরকারি ৩টি, কিন্ডারগার্ডেন ৫টি ও এনজিও স্কুল ৩টি মিলে ১‘শ ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রাক প্রাথমিকে ৪ হাজার ১‘শ ৫০ সেট বই পাওয়া গেছে।

প্রথম শ্রেণির জন্য চাহিদা ছিল ৪ হাজার ৫০ সেট। এর মধ্যে গণিত বই পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য ৪ হাজার ১‘শ ৯০ সেট বইয়ের মধ্যে বাংলা ও গণিত বই পাওয়া যায়নি। তৃতীয় শ্রেণির জন্য চাহিদা ছিল ৪ হাজার ‘২শ ৫০ সেট বই। এখনো এক সেট বইও পাওয়া যায়নি। ৪র্থ শ্রেণির জন্য ৩ হাজার ৯‘শ ৫ সেট বইয়ের মধ্যে গণিত, বিজ্ঞান ও ধর্ম বই পাওয়া যায়নি। পঞ্চম শ্রেণির ৩ হাজার ‘৬শ ২০ সেট বইয়ের মধ্যে ইংরেজি বই পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে দফতরটি।

থানাহাট ২নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী মোছাঃ উম্মে বেদুইরা তাসমিম বলেন, এখন পর্যন্ত আমি নতুন বই পাই নাই। কবে বই দেওয়া হবে তেমন তাও বলা হয়নি স্কুল থেকে।

সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বছরের প্রথমদিনে বই বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও এখন পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণির বই পৌঁছেনি চিলমারী উপজেলায়। এমনিতে গেল দু‘বছর করোনার কারণে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয় শিক্ষার্থীরা। এই ক্ষতি পুষিয়ে নিতে জরুরী ভিত্তিতে শিক্ষার্থীদের হাতে শতভাগ বই তুলে দেয়ার দাবী অভিভাবকদের।

অভিভাবক মো. বক্তারুল ইসলাম বলেন, বছরের শুরুতে বই বিতরণ করার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তৃতীয় শ্রেণির কেউ বই পায়নি। বই না পাওয়ায় ছেলে মেয়েরা স্কুলে যেতে চায় না।

রানীগঞ্জ ইউনিয়নের চর উদনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. বাবলু মিয়া বলেন, আমরা শিক্ষা অফিসে বইয়ের চাহিদার কথা জানিয়েছি। এখনো আমরা পর্যাপ্ত বই পাইনি তাই নতুন বই সবাইকে দেয়া সম্ভব হয়নি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আবু ছালেহ্ সরকার জানান, চাহিদা অনুযায়ী বই পাইনি। বই পেলে আমরা প্রতিষ্ঠানে পাঠাবো।

বিবার্তা/রাফি/বর্ষা/জেএইচ