
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় চৌকিদার পাঠিয়ে দিয়ে জহুরুল হক(৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে বাড়ি থেকে তুলে এনে ইউনিয়ন পরিষদে আটকে রেখে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেলের বিরুদ্ধে।
৩০ জুন, বৃহস্পতিবার সকালে ভুক্তভোগী জহুরুল হক বাদী হয়ে চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি করে ৩ জনের নামে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
এর আগে বুধবার (২৯ জুন) সকালে উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদে এ ঘটনা ঘটে। আহত জহুরুল হক বর্তমানে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন।
অভিযুক্তরা হলেন- বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল, গ্রাম পুলিশ খোকন (৩৫), শাহিদ (২৫) ও জিয়া (৩৬)।
ভুক্তভোগী জহুরুল হক ওই ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবী এলাকার ২নং ওয়ার্ডের জামাল উদ্দিনের পুত্র। এছাড়া তিনি একজন মুরগী ব্যবসায়ী।
জানা গেছে, জহুরুল হকের সাথে তার ভাই নজরুল ইসলামের জমিজমা সংক্রান্ত্র বিরোধ চলছিলো। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সোহেল একটি আপোষ মিমাংসা করে দেন। জহুরুল সেই আপোষ মিমাংসায় দেয়া চেয়ারম্যানের নির্দেশ মানতে দেরি করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান বুধবার ভোরে জহুরুলের বাড়িতে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে দিয়ে তাকে জোড় পূর্বক পরিষদে তুলে আনেন। এরপর পরিষদের হলরুমে জহুরুলকে আটকে রেখে চেয়ারম্যান ও গ্রাম পুলিশরা মারধর ও নির্যাতন করেন। এরপর চেয়ারম্যান সোহেল জোর পূর্বক ফাঁকা স্টাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে জহুরুলকে ছেড়ে দেয়।
নির্যাতনের স্বীকার জহুরুল হক বলেন, সোহেল চেয়ারম্যান চৌকিদার পাঠিয়ে বাড়ি থেকে জোড় পূর্বক আমাকে পরিষদে তুলে নিয়ে গিয়ে মারধর করে ফাকা সই নেন। আমি কি চোর না ডাকাত? আমকে জোড় পূর্বক তুলে নিয়ে যেতে হবে। অনুরোধ করার পরেও চেয়ারম্যান ও চৌকিদার আমাকে মারধর করে। মারধর করতে করতে চেয়ারম্যান বলে বেটা আমার বিচার মানিস না, আমার কথা শুনিস না। আমি তোক ডাকি আর তুই আসিস না। বেটা তোকে জানে শেষ করে দিবো। আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
বড়খাতা ইউপি চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, জহুরুলের সাথে তার ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। জহুরুলকে কোনো মারধার করা হয়নি। আমি ব্যস্ত আছি পড়ে কথা বলবো বলেই কলটি কেটে দেন।
হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ডা. মামুন বলেন, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি এরশাদুল আলম বলেন, ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দেন জহুরুল হক। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবার্তা/তমাল/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]