শিরোনাম
অন্ধ নাবিকের প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি
প্রকাশ : ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১০:৩৩
অন্ধ নাবিকের প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি
বিবার্তা ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রশান্ত মহাসাগর পাড়ি দিলেন জাপানের এক দৃষ্টিহীন নাবিক। দু’মাসে একবারও না থেমে একটানা জাহাজ চালিয়ে এই অভিযান শেষ করেন তিনি। জাপানের দৃষ্টিহীন নাবিকদের সংগঠন জানিয়েছে, এমন রেকর্ড এই প্রথম।


যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়াগো থেকে জাপানের ফুকুসিমা- ৫২ বছরের মিতসুহিরো ইয়ামোতো দু’মাসে সাড়ে আট হাজার মাইলেরও বেশি পাড়ি দিয়েছেন। শনিবার সকালে ফুকুসিমার বন্দরে এসে ভিড়ে তার ১২ মিটারের জাহাজ ‘ড্রিম ওয়েভার’ নিয়ে।


২৪ ফেব্রুয়ারি রওনা হয়েছিলেন ক্যালিফর্নিয়া থেকে। সঙ্গে ছিলেন এক সাহায্যকারী। মার্কিন নেভিগেটর ডো স্মিথ শুধুমাত্র হাওয়ার গতির বিষয়ে তথ্য দিয়ে সাহায্য করেছেন তাকে। সাবধান করেছেন সম্ভাব্য বিপদ দেখলে।


২০১৩ সালেও একবার প্রশান্ত মহাসাগর পেরনোর চেষ্টা করেছিলেন ইয়ামোতো। সে বার সঙ্গে ছিলেন এক জাপানি নেভিগেটর। ফুকুসিমা থেকে যাত্রা শুরু করে সান ডিয়াগোয় শেষ করার কথা ছিল তাদের। বন্দর ছাড়ার পাঁচদিনের মাথায় তিমির ধাক্কায় জাহাজ উল্টে যাওয়ায় থামাতে হয় অভিযান। সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছিল বেশ কিছু দামি যন্ত্রপাতি। জাপানের সেনাবাহিনী কোনো মতে উদ্ধার করে ওই দু’জনকে।


ইয়ামোতোর কথায়, দ্বিতীয় বারের চেষ্টায় এই অভিযান সফল হওয়া যেন স্বপ্নের মতো। আমি এখন বিশ্বের সবচেয়ে সুখী মানুষ!


ইয়ামোতো তার ওয়েবসাইটে লিখেছেন, শুধুমাত্র ব্যক্তিগত সাফল্যের জন্য এই অভিযান শুরু করিনি। আমি বার্তা দিতে চেয়েছি, কেউ পাশে থাকলে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। তিনি ও স্মিথ এই অভিযান থেকে যে অর্থ পাবেন, তা অন্ধত্ব রুখতে দান করা হবে।


এই অভিযানের জন্য সাহায্য চেয়ে বহু দিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় আবেদন করেছিলেন ওই দৃষ্টিহীন নাবিক। তার ওয়েবসাইট থেকে জানা যায়, ১৬ বছর বয়সে দৃষ্টিশক্তি হারান ইয়ামোতো। সেই সময়ে অবসাদ ঘিরে ধরেছিল তাকে। আত্মঘাতী হওয়ার কথাও ভাবেন। কিন্তু মন শক্ত করে ঘুরে দাঁড়ান অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষটি। শুধু নৌকা বাওয়াই নয়, সান ডিয়াগোর একটি বাইসাইকেলিং ক্লাবেরও সদস্য তিনি। বিয়ে ও কন্যাসন্তানের জন্মের পরে ২০০৬ সালে সান ডিয়াগো চলে যান তারা।


ইয়ামোতো জানিয়েছেন, বিয়ের পরে স্ত্রী কারেনের সঙ্গে জাপানের চিবায় থাকতেন তিনি। বাড়ির আশপাশের বহু দোকানে নৌকা ভাড়া পাওয়া যেত। কারেন নিজে দক্ষ নৌকা চালক। আনাড়ি ছাত্রের হাতেখড়ি হয় তার কাছেই। তার পরে ক্রমাগত অনুশীলনে পাকাপোক্ত হয়ে ওঠেন ইয়ামোতো। সূত্র: আনন্দবাজার


বিবার্তা/জাকিয়া

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com