২৩ হাজার ৩৮৯ ফুট উচ্চতা পাড়িয়ে দিয়ে তারকা বনে গেছে একটি কুকুর। নেপালের এই শৃঙ্গ জয় করার পরই এঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। হঠাৎই একদিন বেসক্যাম্পে তার আগমন, তার পর নিজের দক্ষতায় হিমালয় শৃঙ্গজয়ের অভিযাত্রী দলের অংশ হয়ে যাওয়া।
ওয়ারগাউস্কির দল তার নাম রাখে ‘মেরা’। তার শৃঙ্গজয়ের ইতিহাস ২০১৮-এর ৯ নভেম্বরের। সম্প্রতি 'আউটসাইড' ম্যাগাজিনের সৌজন্যে সে সাফল্য সামনে এসেছে। ডনের সঙ্গে 'মেরা'র অভিযানের ছবি মুহূর্তে হিট। ৪৫ পাউন্ডের সারমেয়টি তিব্বতি ম্যাসটিফ ও হিমালয়াম শিপডগের সংকর প্রজাতি। ক্ষিপ্ততায় হার মানাতে পারে অনেককেই।
গত বছর নেপালে কুকুরের কামড়ে বেশ কয়েকজনের জলাতঙ্কের খবর মিলেছিল। ফলে, ‘মেরা’যখন ল্যাজ নাড়িয়ে ওয়ারগাউস্কির দলের পিছু নেয়, দলের অনেকেরই ব্যাপারটা পছন্দ হয়নি। ডনও প্রথমে মেরাকে তেমন পাত্তা দেননি। কিন্তু ক্রমে বুঝতে পারলেন, সারমেয়টি তাদের পিছু ছাড়তে নারাজ।
প্রথম বেসক্যাম্প থেকে রওনা দেয়ার সময় দড়ি দিয়ে মেরাকে বেঁধে রেখে এসেছিলেন ডন। কিন্তু দাঁত দিয়ে দড়ি কেটে কয়েক ঘণ্টা বাদেই অভিযাত্রী দলের সঙ্গী সে! ডন হিসাব করেন, যে দূরত্ব পেরোতে তাদের প্রায় সাত ঘণ্টা লেগেছে, সেই দূরত্ব মাত্র দু'ঘণ্টায় পেরিয়েছে মেরা। কোলে তুলে তার পিঠ চাপড়ে দিয়েছিলেন। ২১ হাজার ফুটের উপরে দ্বিতীয় ক্যাম্পে যখন পৌঁছলেন, ঘণ্টায় প্রায় ৬০-৭০ মাইল বেগে ঝড় বইছে। ওয়ারগাউস্কির কথায়,'গরম জামা, বুট পরেও আমরা কাঁপছি আর মেরা ওই ঠাণ্টাতেও একই রকম টগবগে। নখ ভেঙে, বরফের আঘাতে ওর পা তখন রক্তাক্ত। তাই ওকে ক্যাম্পে রেখেই আমরা ভোর ভোর রওনা দিয়েছিলাম। কিন্তু ঘুম ভেঙে ও ঠিক আমাদের খুঁজে বের করল। দলের লোকেরাও ততক্ষণে মেরাকে 'লাকি' ভাবতে শুরু করেছে। আর ওকে ফেলে যাওয়ার প্রশ্নই ছিল না।
সোভিয়েত মহাকাশযানের সওয়ারি ‘লাইকা’ এমনই উৎসাহ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। কিন্তু মহাকাশের প্রতিকূল পরিবেশে মৃত্যুতে শেষ হয়েছিল তার অভিযান। কিন্তু ‘মেরা’র জীবনীশক্তির কাছে হার মেনেছে সব প্রতিকূলতা। সূত্র: পিটিআই
বিবার্তা/আকবর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]