
নাম, জুতো। তবে জুতোর বৈশিষ্ট্য প্রায় নেই বললেই চলে। যেন ‘জুতা আবিষ্কার’-এর উদ্দেশ্যই পূরণ হল না। পায়ে গলালে প্রায় কিছুই ঠাওর হচ্ছে না যে! তাই বোধহয় নাম দেওয়া হয়েছে, ‘জ়িরো শু’। শূন্যই বটে। কিন্তু দাম যে শূন্যের অনেক উপরে। ৪২ হাজার টাকার কিছু বেশি দামে কিনতে পারবেন এই ‘শূন্য জুতো’। সৌজন্যে ‘বালেন্সিয়াগা’।
স্পেনের এই ফ্যাশন সংস্থা ১৯১৯ সাল থেকে আজও তাদের ছকভাঙা ডিজ়াইনের জন্য সুপরিচিত। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, কখনও বা যুগকেও পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় বালেন্সিয়াগার শিল্প। তারাই এ বার তৈরি করল নতুন ধরনের জুতো।
জুতো এবং খালি পায়ের মধ্যে রইল সূক্ষ্ম ভেদাভেদ। ত্বকের রং, পায়ের গঠন, পায়ের নগ্নতাকেই প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে, জুতোর ডিজ়াইনকে নয়। এমনই ভাবনার প্রকাশ ‘জ়িরো শু’-তে।
রাবারের মতো উপাদানে তৈরি এই জুতো। দেখতে খানিক চপ্পলের মতো। যে চপ্পল আবার দেখতে একেবারে মানুষের পায়ের মতো। আঙুলগুলির অনুকরণ করা হয়েছে ভাঁজে ভাঁজে। বুড়ো আঙুলে কেবল ঢাকার ব্যবস্থা। আর গোড়ালি ঠেকিয়ে রাখার মতো রাবারের দেওয়াল উঠেছে পিছনে। চোখে খানিক অস্বস্তিও হতে পারে আপনার। ঠিক তিনটি রঙে এই জুতো পাওয়া যাচ্ছে— কালো, মোকা ব্রাউন এবং বেজ। পরার পর পায়ের পাতার সঙ্গে যাতে মিলেমিশে যেতে পারে, সে ভাবেই তৈরি হয়েছে জুতোটি।
তবে ফ্যাশনপ্রেমীদের দল এই জুতো নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত।সমাজমাধ্যমে কেউ হাসিঠাট্টায় মেতে, কেউ বা ছকভাঙা ডিজ়াইনে মুগ্ধ। কেউ চমকে উঠছেন জুতোর দাম দেখে। কেউ আবার লিখছেন, ‘বালেন্সিয়াগা যে ভাবে ধনী ব্যক্তিদের সঙ্গে মশকরা করে, আমার ভাল লাগে।’ কেউ বা চিন্তায় ডুবে, আদৌ এই জুতো পায়ে টিকে থাকবে তো, না কি ছিটকে বেরিয়ে যাবে বার বার!
বালেন্সিয়াগার জন্য বিতর্ক নতুন নয়। এর আগে এক লক্ষেরও বেশি দামের প্ল্যাটফর্ম ক্রকস, লেদারের (চামড়া) ময়লা ফেলার ব্যাগ, নষ্ট স্নিকার্সের মতো সামগ্রী তৈরি করে আলোচনার কেন্দ্রে এসে হাজির হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও চিরাচরিত ফ্যাশনের ধারাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে দ্বিতীয় বার ভাবে না বালেন্সিয়াগা।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]