
‘বইসেতু’ দিয়ে চলে যাচ্ছে একের পর এক বই। এভাবে ওই সেতু দিয়ে এক দোকান থেকে আরেক দোকানে চলে গেছে ৯ হাজার ১০০টি বই। বইসেতু আবার কী, এটা কীভাবে তৈরি হয়েছে, এটাই ভাবছেন তো?
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের একটি ছোট্ট শহরের প্রায় ৩০০ মানুষ একজনের পর একজন দাঁড়িয়ে এই সেতু তৈরি করেন।
একটি বইয়ের দোকান পুরোনো জায়গা থেকে এক ব্লক দূরে একটি নতুন ভবনে সরে গেছে। পুরোনো দোকান থেকে বই নতুন দোকানে সরিয়ে নিতে এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
গত রোববার স্থানীয় বাসিন্দারা চেলসি শহরের একটি হাঁটাপথের দুপাশে দুই সারিতে দাঁড়িয়ে হাতে হাতে বইগুলো পুরোনো দোকান থেকে সরাসরি নতুন দোকানের তাকে ঠিকঠাকমতো সাজিয়ে দেন।
দোকানমালিক মিশেল টাপলিন বলেন, ‘এটি বই সরানোর (এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া) বাস্তবিক পথ ছিল, একই সঙ্গে সবার এটির অংশ হওয়ার উপায়ও ছিল। তাঁরা একজন আরেকজনের কাছে বই দেওয়ার সময় বলছিলেন, “আমি এটা পড়িনি”, “এটা খুব ভালো বই” ইত্যাদি।’
মিশেল টাপলিন জানুয়ারি মাসে তাঁর বইয়ের দোকান স্থানান্তরের ঘোষণা দেন।
মঙ্গলবার মিশেল বলেন, শহরে এটি তুমুল আগ্রহ-উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। অনেক মানুষ সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এসেছেন।
সবার প্রচেষ্টায় মাত্র দুই ঘণ্টায় বই সরানোর কাজ শেষ হয়ে যায় বলেও জানান মিশেল। দোকান থেকে বই সরিয়ে নেওয়ার জন্য কোনো কোম্পানিকে ভাড়া করলে বই বাক্সবন্দী করা, সেগুলো নিয়ে নতুন দোকানে গিয়ে বাক্স খুলে বই সাজাতে আরও অনেক বেশি সময় লাগত।
বই বহনের জন্য তৈরি করা মানবসেতুর লোকজন শুধু এক দোকান থেকে আরেক দোকানে বই নিয়েই যাননি, উপরন্তু নতুন দোকানে ‘বর্ণানুক্রমে’ বইগুলো তাকে সাজিয়েও দিয়েছেন।
এক বছরের সামান্য বেশি সময় ধরে ওই বইয়ের দোকানে কাজ করেন কেছি ফ্রিস। চেলসিতে ছোটবেলা থেকে বেড়ে উঠেছেন ৩২ বছর বয়সী এই নারী। তিনি বলেন, ‘এটি খুবই ছোট শহর এবং এখানকার বাসিন্দারা একে অপরের খেয়াল রাখেন। যেখানেই যাবেন, আপনি চেনা কাউকে না কাউকে দেখতে পাবেন অথবা কেউ না কেউ আপনাকে চিনতে পারবেন এবং আপনার কুশল জিজ্ঞাসা করবেন।’
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]