সেঞ্চুরি করেছিলেন ১৬ বছর আগেই। ১১৬ বছর বয়সে মৃত্যু হল সেই ব্যক্তির। নাম ফুসা তাতসুমি। জাপানের এই নাগরিকই বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তি বলে পরিচিত ছিলেন এত দিন।
তাঁর জীবৎকালে বিশ্বযুদ্ধ এবং একাধিক মহামারি দেখেছেন। এ বছর এপ্রিল মাসে ১১৯ বছর বয়সে মারা যান ফুকোকা। বৃদ্ধার মৃত্যর আগে তিনিই ছিলেন বিশ্বের প্রবীণতম।
তিনি মারা যাওয়ার পর ১১৬ বছর বয়সি ফুসাকে প্রবীণতম ঘোষণা করা হয়।
জাপানিদের আয়ু বেশি, এ কথা মোটামুটি সকলেই জানেন। তাঁদের জীবনীশক্তির রহস্য জানতে কৌতূহলী অনেকেই। ফুসা বা ফুকোকা কেউই জটিল কোনও রোগে আক্রান্ত ছিলেন না। মৃত্যুর সময়েও বিশেষ কোনও কষ্ট পাননি তাঁরা। তবে ১০০ বছর পেরিয়েও কী ভাবে সুস্থ এবং ফিট রইলেন তাঁরা? শরীরচর্চা, পরিমিত খাবার খাওয়া এবং মানসিক ভাবে উদ্বেগমুক্ত থাকা জাপানের বাসিন্দাদের দীর্ঘায়ুর রহস্য। বয়স বাড়লে নয়, কম বয়স থেকেই সকলে জীবনে নিয়ম মেনে চলেন। নিয়মের বাইরে কোনও কাজ করেন না কেউ।
বিশেষ করে খাওয়াদাওয়া নিয়ে বেশি সচেতন জাপানের বাসিন্দারা। পরিমিত পরিমাণে খাবার খান সকলেই। বার বার খাবার খাওয়ার প্রবণতাও কম। খিদে পেলে তবেই হালকা কিছু খাবার খান। ফলে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে। ওজন বৃদ্ধির কারণে কোনও রোগবালাই ছুঁতেও পারে না। সেই সঙ্গে নিয়মিত শরীরচর্চার অভ্যাস তো আছেই। রোজ সকালে নিয়মমাফিক শরীরচর্চায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন প্রত্যেকেই, ফুসাও তাই করতেন। তবে একটি অভ্যাস জাপানের প্রত্যেকেই মেনে চলেন। তা হল প্রতি দিন সকালে উঠে এক কাপ চা খাওয়া। বার্ধক্যেও ভরপুর চাঙ্গা থাকার রহস্য নাকি লুকিয়ে আছে এক কাপ চায়েই।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]