দুই ব্যক্তি ৪৩ ফুট দীর্ঘ নৌযানে করে সমুদ্রে গিয়েছিলেন। গত ১২ অক্টোবর মাছ ধরার নৌযানটি ওয়াশিংটন কোস্ট ছেড়ে গিয়েছিল। ফেরার কথা ছিল ১৫ অক্টোবর।
কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে যাওয়ার পরও তাঁদের নৌযান ফিরে আসেনি। এর মধ্যে চলে গেছে প্রায় দুই সপ্তাহ। ফলে দুজনের বেঁচে থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
তবে আচমকা দুজনের একজনকে পাওয়া গেছে কানাডার জলসীমায়। লাইফ র্যাফটে ভাসছিলেন তিনি। সিএনএনের খবরে বলা হয়, ওয়াশিংটনের কেপ ফ্ল্যাটারির ১১২ কিলোমিটার উত্তর–পশ্চিমে কানাডীয় মাছ ধরার একটি নৌকার লোকজন তাঁকে প্রথম দেখতে পান।
মার্কিন কোস্টগার্ডের মুখপাত্র পেটি কর্মকর্তা স্টিভ স্ট্রোহমায়ার সিএনএনকে বলেন, গত বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তিকে পাওয়া যায়। কয়েক দিন ধরে ওই ব্যক্তি লাইফ র্যাফটে ভাসছিলেন। তিনি সাহস হারাননি। অবশেষে তিনি মাছ ধরার নৌকার লোকজনের নজরেও পড়েন। বিষয়টি অনেকটা অলৌকিক।
মুখপাত্র আরও বলেন, মহাসাগর এক বিস্তৃত জায়গা। সেখানে তিনি ভাসছিলেন। আর সেখান দিয়ে কোনো নৌযান যাওয়ার বিষয়টি খুবই বিরল।
কিন্তু এক সপ্তাহ পরও ফিরে না আসায় কোস্টগার্ড রবিবার বিপৎসংকেত দেয়। কানাডার মাছ ধরার নৌকা গুড সামারিতান ওই ব্যক্তিকে পাওয়ার পর কানাডার কোস্টগার্ডকে বেতারবার্তা পাঠায়। এরপর তারা এসে তাকে উপকূলে ফিরিয়ে নেয়। সেখান থেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন তাঁর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীলই ছিল।
তবে এই নৌযানের অন্য ব্যক্তি এখনো নিখোঁজ। মার্কিন কোস্টগার্ড কখন তাঁর খোঁজ শুরু করবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শী ও বেঁচে ফেরা ব্যক্তির কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর ভবিষ্যতে কী করা হবে, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা হবে।
বুধবার মার্কিন কোস্টগার্ড জানায়, ৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ১ হাজার ৪০০ বর্গমাইলজুড়ে তল্লাশি চালানোর পর ‘নতুন তথ্যের অপেক্ষায়’ অনুসন্ধানটি মুলতবি করা হয়।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]