ভারতের মহারাষ্ট্রের ওয়াশিম জেলার সারসি গ্রামে রামহরি ভৈর নামের এক কৃষকের বাড়ি। তিনি মূলত সয়াবিন চাষি। সয়াবিনের শষ্যদানার খোসা গবাদিপশুর অন্যতম প্রিয় খাবার।
গত বুধবার রামহরির স্ত্রী গীতা সয়াবিনের খোসা ছাড়িয়ে সেগুলো মহিষকে খাওয়ানোর জন্য একটি গামলায় রাখেন। এরপর তিনি গোসলে যান। গোসলে যাওয়ার সময় ওই গামলার এক পাশে তিনি গলার মঙ্গলসূত্রটি (হিন্দু নারীদের বিয়ের প্রতীক) খুলে রেখে যান।
মঙ্গলসূত্রটিতে ২৫ গ্রামের মতো সোনা ছিল। ২৫ গ্রাম ওজনের ওই সোনার গয়নার দাম আনুমানিক দেড় লাখ রুপি। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় দুই লাখ।
পরদিন সকালে সেই গামলায় মহিষকে খেতে দেন গীতা। কয়েক ঘণ্টা পর তাঁর মনে হয়, ‘আরে, আমার মঙ্গলসূত্র কোথায়?’ কেউ নিতে পারেন, এমন কাউকে সন্দেহও করতে পারছিলেন না তিনি।
এরপর তিনি মনে করতে শুরু করেন, সেদিন কী কী করেছেন। তখনই তাঁর মনে পড়ে যায়, গোসলে যাওয়ার আগে তিনি মঙ্গলসূত্রটি মহিষের খাবারের পাশে গামলায় রেখেছিলেন। তার মানে, সেটি এখন মহিষের পেটে। তৎক্ষণাৎ তিনি বিষয়টি স্বামীকে জানান।
পরিবারটি গয়নার পাশাপাশি মহিষের স্বাস্থ্য নিয়েও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। তারা বিষয়টি স্থানীয় পশুচিকিৎসককে জানায়। এরপর পশুচিকিৎসকের একটি দল দুই ঘণ্টা অস্ত্রোপচার করে মহিষের পেট থেকে গয়নাটি বের করে আনে। এই অস্ত্রোপচার করতে গিয়ে মহিষের পেটে পড়েছে ৬০-৬৫টি সেলাই।
ওয়াশিমের এক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বালাসাহেব কাউনদানে বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মহিষের পেটে ধাতব কিছুর উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। বালাসাহেব সব গবাদিপশুর মালিকদের সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘পশুদের খাবার দেওয়ার আগে কিছু সতর্কতা মেনে চলুন। খেয়াল করুন, এতে খাবার ছাড়া যাতে অন্য কিছু না থাকে।’
মহিষটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে জানিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, এটি ভালো আছে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]