‘গ্র্যাভিটি হোল’: সমুদ্রের তলদেশ নিচের দিকে বসে যাচ্ছে?
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২৩, ০৯:৪২
‘গ্র্যাভিটি হোল’: সমুদ্রের তলদেশ নিচের দিকে বসে যাচ্ছে?
আন্তর্জাতক ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

শ্রীলঙ্কার দক্ষিণে ভারত মহাসাগরের নিচে একটি বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সমুদ্রের মেঝেতে অনেকটা এলাকাজুড়ে তার বিস্তৃতি। দীর্ঘদিন ধরেই যা রয়েছে বিজ্ঞানীদের কৌতূহলের কেন্দ্রে।


মহাসাগরের নিচে এ গর্তটিকে বলা হয় ‘গ্র্যাভিটি হোল’ বা ‘মাধ্যাকর্ষণজাত গর্ত’। পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টানের কারণেই এ গর্তটি তৈরি হয়েছে বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানীরা। অনেকের ধারণা, সমুদ্রের তলদেশ হয়তো নিচের দিকে বসে যাচ্ছে।


জানা গেছে, ‘গ্র্যাভিটি হোল’-এর বিস্তৃতি বিশাল। প্রায় ৩০ লাখ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে তৈরি হয়েছে এ গর্তটি। সমুদ্রের সবচেয়ে নিচের স্তরটির চেয়েও এ অঞ্চলটি গভীর।


ভবিষ্যতে এ গর্ত থেকে পৃথিবীর উপরিভাগে কোনো ক্ষতি হতে পারে কি না এবং বিশ্ব উষ্ণায়নের কারণে এ গর্তের কোনো সম্পর্ক আছে কি না, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা।


অবশ্য ভারত মহাসাগরের নিচে বিশাল গর্তটির সম্ভাব্য কারণ আবিষ্কার করেছেন দুই ভারতীয় বিজ্ঞানী। তারা বেঙ্গালুরুর ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্সের গবেষক দেবাঞ্জন পাল ও আত্রেয়ী ঘোষ। ‘জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারস‌্‌’ নামক জার্নালে দেবাঞ্জন এবং আত্রেয়ীর গবেষণামূলক তত্ত্ব প্রকাশিত হয়েছে। কেন ভারত মহাসাগরের মাঝে ‘গ্র্যাভিটি হোল’ তৈরি হলো, তা ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করেছেন এ দুই বিজ্ঞানী।


গবেষকদের দাবি, পৃথিবীর আকার একটি নিখুঁত গোলকের মতো বলে মনে করা হলেও আসলে পৃথিবী তেমন নয়। পৃথিবীপৃষ্ঠ কোথাও উঁচু, কোথাও নিচু এমনকি কোনো অংশ একটু বেশি সমতল।


ভারত মহাসাগরে তৈরি ‘গ্র্যাভিটি হোল’ আক্ষরিক অর্থে তেমন ‘গর্ত’ নয়, যা সমুদ্রের পানি কমিয়ে দেয় বা শুষে নেয়। বরং এটি ভূত্বকের একটি অসঙ্গতিপূর্ণ স্থান, যেখানে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টান অপেক্ষাকৃত দুর্বল।


গবেষকেরা কম্পিউটার মডেলের মাধ্যমে পৃথিবীপৃষ্ঠটিকে বিশ্লেষণ করেছেন। মাধ্যাকর্ষণজাত এ গর্তকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তারা। ১৪ কোটি বছর ধরে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূপ্রকৃতিগত পরিবর্তন বিবেচনা করে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, এ ‘গ্র্যাভিটি হোল’-এর কারণে পৃথিবীর মহাদেশীয় এবং মহাসাগরীয় পাতগুলো বেশ কিছুটা সরে গেছে।


ভারত মহাসাগরে তৈরি ‘গ্র্যাভিটি হোল’ আক্ষরিক অর্থে তেমন ‘গর্ত’ নয়, যা সমুদ্রের পানি কমিয়ে দেয় বা শুষে নেয়। বরং এটি ভূত্বকের একটি অসঙ্গতিপূর্ণ স্থান, যেখানে পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ টান অপেক্ষাকৃত দুর্বল।


গবেষকেরা কম্পিউটার মডেলের মাধ্যমে পৃথিবীপৃষ্ঠটিকে বিশ্লেষণ করেছেন। মাধ্যাকর্ষণজাত এ গর্তকে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তারা। ১৪ কোটি বছর ধরে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভূপ্রকৃতিগত পরিবর্তন বিবেচনা করে দেখেছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের দাবি, এ ‘গ্র্যাভিটি হোল’-এর কারণে পৃথিবীর মহাদেশীয় এবং মহাসাগরীয় পাতগুলো বেশ কিছুটা সরে গেছে।


এ মহাসাগরের তলদেশে গর্তের উপস্থিতি বাইরে থেকে দেখে তা বোঝা অসম্ভব। তবে এ ‘গ্র্যাভিটি হোল’ নিয়ে আরও গবেষণা চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরও নতুন তথ্য উঠে আসবে।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com