মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হননি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। মশার কামড় থেকে বাঁচতে নানা উপায় অবলম্বন করতে দেখা যায়। কেউ মশার কামড় থেকে বাঁচতে মশারি ব্যবহার করেন। কেউ কেউ কয়েল, এমনকি মশা নিধনে রাসায়নিকও ব্যবহার করেন। তাই বলে মশা মারতে ড্রোনের ব্যবহার নিশ্চয় ‘মশা মারতে কামান দাগা’র মতোই হবে।
এ ঘটনাই ঘটেছে। মশা নিধনে অনেক পদ্ধতির ব্যবহার করেও আশানুরূপ ফল না পাওয়ায় ড্রোন ব্যবহার করার এমন অভিনব উদ্যোগটি নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার অরেঞ্জ কাউন্টি কর্তৃপক্ষ। মশা নিধনে ওই এলাকার নিম্নাঞ্চলে, পুকুরে আর ডোবায় ড্রোনের মাধ্যমে জীবাণুনাশক ছিটাতে দেখা যাচ্ছে।
ক্যালিফোর্নিয়ায় এখন শীতকাল। তবে বৃষ্টি হয় নিয়মিত। এতে মশার বংশবিস্তার হয় বেশি। যত্রতত্র জমে থাকা পানিতে জন্ম নেওয়া মশায় অতিষ্ঠ পুরো এলাকার মানুষ। মশা নিধনে কর্তৃপক্ষ নানাভাবে চেষ্টা চালিয়েছে। সর্বাধুনিক পদ্ধতি হিসেবে ড্রোন ব্যবহারের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
আরভিন শহরে অবস্থান ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার। শহরটির অদূরে রয়েছে জ্যান জোয়াকিন মার্শ রিজার্ভ নামে একটি অভয়ারণ্য। সম্প্রতি সেখানে ড্রোনের মাধ্যমে জীবাণুনাশক ছিটানো হয়। ড্রোনগুলো চালান জন স্যাভেজ নামের এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে এখানে মশা অনেক বেশি। এখানে প্রায় সব জলাশয় পানিতে পূর্ণ। এ কারণে মশাও অনেক বেশি।’
অরেঞ্জ কাউন্টির কীটপতঙ্গ বিশেষজ্ঞ কিয়েট নেগুয়েন বলেন, ‘মশা অনেক বেড়ে গেছে। মশা নিধনে আরও ভালো প্রযুক্তির ব্যবহার করা যায় কি না, সেই খোঁজে ছিলাম আমরা। এমন কোনো প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে আরও দ্রুত ও বেশি মশা নিধন করা যায়। এ জন্যই ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে।’
অরেঞ্জ কাউন্টি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মশা নিধনে প্রচলিত সব পদ্ধতির আশ্রয় নিয়েছিল তারা। জীবাণুনাশক ছিটানোর বিশেষ যন্ত্র, ট্রাক, হেলিকপ্টার—এমনকি উড়োজাহাজও ব্যবহার করেছে। কিন্তু এতে তেমন কাজ হয়নি। তাই আরও নির্দিষ্টভাবে আর দুর্গমসহ সব এলাকায় জীবাণুনাশক ছিটাতে সক্ষমতার বিষয়টি মাথায় রেখেই মশা নিধনে ড্রোন ব্যবহার করার এই সিদ্ধান্ত নেয় তারা। একটি ড্রোনের মাধ্যমে মাত্র দুই মিনিটে এক একর এলাকার মশা নিধন করা যাচ্ছে।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]