
ডিপিএলে ম্যাচের আগে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ইতোমধ্যে হার্টে রিং পরানো হয়েছে এই ক্রিকেটারের। শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও আগামী ৭২ ঘণ্টা তামিম চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর।
এর মধ্যেই ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে এই ওপেনারকে। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে সাভার থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে রওনা হন তামিম। এরপর ৮.৩৭ মিনিটে তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স এভারকেয়ার হাসপাতালে এসে পৌঁছায়।
মূলত উন্নত চিকিৎসার জন্যই সাভার থেকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে তামিমকে। ঢাকায় আনার পথে তামিমকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটিকে বেশ নিরাপত্তার বেষ্টনিতে রাখা হয়।
এর আগে সাভারের কেপিজে হাসপাতালে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলার জন্য আনা হয় হুইলচেয়ারে করে। হার্ট অ্যাটাকের পর তখনই প্রথম প্রকাশ্যে দেখা যায় বাংলাদেশের সদ্য সাবেক এই তারকা ক্রিকেটারকে।
প্রসঙ্গত, গতকাল (সোমবার) সকালে টসের পর হালকা বুকে ব্যথা অনুভব করলে তামিম বিষয়টি দ্রুত দলের ফিজিও ও ট্রেইনারকে জানান। প্রাথমিকভাবে গ্যাস্ট্রিকজনিত সমস্যা মনে হওয়ায় গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ গ্রহণ করেন তিনি। তবে কিছুক্ষণ পরও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় সতর্কতার অংশ হিসেবে নিকটতম হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং চিকিৎসা শেষে আবারও বিকেএসপিতে ফিরে আসেন এই ক্রিকেটার।
এরপর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে দ্রুত বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়। দলের (মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব) ম্যানেজার শিপন ভাইয়ের সঙ্গে আলোচনা করে হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হয়, যাতে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা সম্ভব হয়। তবে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে পড়লে তাকে ফের নিকটতম কেপিজে হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে নেওয়া হয়। সেখানে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে।
২২ মিনিট ধরে সিপিআর এবং ৩ বার ডিসি শক দেয়ার পর তামিমকে রিং পরানোর সুযোগ পাওয়া যায়। তবে অনেক প্রচেষ্টায় সেই অপারেশন সফল হয়েছে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]