
মেহেদী হাসান মিরাজ না পারলেও সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন লিটন দাস। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে থেকে অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন ডানহাতি এ ব্যাটার। ১৭১ বলে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি।
২৬ রানে দলের ৬ উইকেট পতনের পর ক্রিজে এসেছিলেন লিটন। দলের সামনে তখন নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার ভয়। সেখান থেকে লিটন খেললেন দারুণ এক ইনিংস। প্রথমে মিরাজকে নিয়ে দলের ওপর থাকা চাপ দূর করেছেন। পার করেছেন ফলো-অন। এরপর দলের স্কোরকে দিয়েছেন সম্মানজনক অবস্থান।
লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মেহেদি মিরাজ। ৭৮ রান করে ফিরে গেলেও দলকে দেখিয়েছেন পথ। লিটন মাঝে ক্র্যাম্পে পড়লেও ঠিকই উঠে দাঁড়িয়ে খেলেছেন। পেয়েছেন সেঞ্চুরিও। বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত কক্ষপথে আছে তার ওই দারুণ শতকের সুবাদেই।
২৬ রানে ৬ উইকেট পতনের পর থেকে লিটন বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে গেলেন ২৬২ পর্যন্ত। উড়িয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। বাউন্ডারি লাইনে সাইম আইয়ুব নিয়েছেন ক্যাচ। সালমান আঘার বলে যখন লিটন আউট হয়েছেন তখন তার নামের পাশে ১৩৮ রান। নাহিদ রানা অবশ্য এরপর কিছু করতে পারেননি। একই ওভারে ফিরেছেন তিনি। বাংলাদেশ থেমেছে ২৬২ রানে।
এদিনের সেঞ্চুরিতে এক ভিন্ন রকমের রেকর্ডেও নাম উঠেছে লিটনের। ৫০ রানের আগে ৫ উইকেট হারানোর পর ব্যাট করতে নেমে তিনবার সেঞ্চুরি পেয়েছেন লিটন। এমন কীর্তি নেই আর কারোরই।
এছাড়া মিরাজের সঙ্গে ১৬৫ রানের জুটিতে বিশ্বরেকর্ডও করেছেন লিটন কুমার দাস। এর আগে ৫০ রানের কমে ৬ উইকেট হারানোর পর সপ্তম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটিটা ছিল ১১৫ রানের। ২০০৬ সালে করাচিতে ভারতের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৩৯ রানে প্রথম ৬ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এরপর সপ্তম উইকেটে ১১৫ রানের জুটি গড়েন আবদুল রাজ্জাক ও কামরান আকমল।
বিবার্তা/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]