
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকের দায়িত্ব ছেড়েছেন শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। বোর্ডের উইমেন’স উইংয়ের চেয়ারম্যানও ছিলেন সিলেটের এই সংগঠক।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগর সাংগঠনিক সম্পাদকও ছিলেন তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে তিনি আওয়ামী লীগের টিকেটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
বিসিবির পরিচালনা পর্দের সভা শেষ বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদ সম্মেলনে নাদেলের পদত্যাগের খবর জানান বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, একটা এসেছে পদত্যাগপত্র, উইমেন’স উইংয়ের চেয়ারম্যান ছিলেন, উনি পদত্যাগ করেছেন।
কদিন আগেই বিসিবি থেকে পদত্যাগ করেছেন দীর্ঘদিনের ক্রিকেট সংগঠক জালাল ইউনুস, যিনি বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধানও ছিলেন। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের মনোনীত হিসেবে পরিচালক হয়েছিলেন তিনি। ক্রীড়া পরিষদের কোটায় পরিচালক হওয়া আরেকজন আহমেদ সাজ্জাদুল আলম পদত্যাগ করেননি। তবে তার মনোনয়ন তুলে নেয় ক্রীড়া পরিষদ। এই দুজনের পরিবর্তেই পরিচালক হন ফারুক আহমেদ ও নাজমুল আবেদীন। পরে সভাপতি নির্বাচিত হন ফারুক।
আরও কয়েকজন পরিচালকের পদ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বাতিল হয়ে গেছে কি না, এটিও এখন প্রশ্ন। বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, পরিচালনা পর্ষদের টানা তিনটি সভায় অনুপস্থিত থাকলে পরিচালক পদ বাতিল হয়ে যায়। বোর্ডের বিভিন্ন সূত্র থেকে যা জানা যাচ্ছে, তাতে বৃহস্পতিবারের সভা দিয়ে পরপর তিন সভায় থাকতে পারেননি তানভীর আহমেদ টিটু, গাজী গোলাম মোর্তজা, মঞ্জুর কাদের, নাজিব আহমেদ ও এনায়েত হোসেন সিরাজও। গত ২ জুলাই বোর্ড সভায় তারা ছিলেন না। পরে ২১ অগাস্টের বোর্ডের জরুরি সভাতেও ছিলেন না তারা।
তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে বিসিবি সভাপতি জানান, “এটা আসলে না দেখে বলা সম্ভব নয়… নিবন্ধন খাতায় দেখতে হবে।”
বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি নিশ্চিত করেছেন, জরুরি সভাকেও বোর্ড সভা হিসেবেও ধরা হবে। সেক্ষেত্রে বেশ কজন পরিচালকের পদ বাতিল হওয়ার কথা। তবে নামগুলি নিশ্চিত করতে পারেননি প্রধান নির্বাহীও, “নিবন্ধন না দেখে বলা কঠিন। টানা তিন সভায় না থাকলে বাতিল হবে। তবে কারও মেডিকেল গ্রাউন্ড থাকতে পারে, কারও যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে, এখানে আইনি দিকগুলোও দেখতে হবে।”
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]