
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের মাঠে টানা চমক জাগানো পারফরম্যান্সের পর এবার প্রথম অঘটনের জন্ম দিলো যুক্তরাষ্ট্রে।রুদ্ধশ্বাস এক লড়াই গড়ালো সুপার ওভারে আর সেই ওভারেই পাকিস্তানকে হারিয়েই দিলো তারা।
প্রথমে টস জিতে সুপার ওভারে ব্যাটিং করে যুক্তরাষ্ট্র। পাকিস্তানের হয়ে বল করেন মোহাম্মদ আমির। প্রথম বলেই বাউন্ডারি হজম করেন বাঁহাতি এই পেসার। ওই ওভারে তিনটি ওয়াইড দেন আমির, ওই তিন ডেলিভারিতে আবার বাড়তি ৪ রান নেয় যুক্তরাষ্ট্র। সবমিলিয়ে ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে যুক্তরাষ্ট্র তোলে ১৮ রান।
পাকিস্তানের হয়ে ১৯ তাড়া করতে নামেন ইফতিখার আহমেদ এবং ফখর জামান। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে বল হাতে নেন সৌরভ নেত্রাভাকার। প্রথম বলেই তিনি দেন ডট। পরের বলে বাউন্ডরি হাঁকান ইফতিখার। তৃতীয় বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ব্যাটিংয়ে আসেন শাদাব খান।
চতুর্থ বলে হয় ওয়াইড। পরের বলে লেগ বাই থেকে চার। পঞ্চম বলে শাদাব নেন ২ রান। শেষ বলে ছক্কা হলে ম্যাচ আবার টাই হয়ে যেতো। কিন্তু শাদাব নিতে পারেন মাত্র এক রান। ১ উইকেটে ১৩ রানেই থামে পাকিস্তান।
এর আগে নির্ধারিত ২০ ওভারের লড়াইয়েও ছিল টানটান উত্তেজনা। পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে বাবর আজমের ৪৩ বলে ৪৪ আর শাদাব খানের ২৫ বলে ৪০ রানের ইনিংসে ভর করে ৭ উইকেটে তুলেছিল ১৫৯ রান।
যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্য ছিল ১৬০ রানের। শেষ বল পর্যন্ত তারা জিইয়ে রাখে লড়াই। শেষ বলে যুক্তরাষ্ট্রের দরকার ছিল ৫ রান। হারিস রউফের বলে নিতিশ কুমার হাঁকালেন বাউন্ডারি। ম্যাচ হয়ে গেলো টাই।
হারিস রউফের শেষ ওভারে ১৫ লাগতো যুক্তরাষ্ট্রের। ডানহাতি এই পেসার একটি চার একটি ছক্কাসহ ওভারে দেন ১৪। তাতেই টাই করে ফেলে যুক্তরাষ্ট্র।
ডালাসের গ্র্যান্ড প্রেইরি স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে জয় বলতে গেলে নিশ্চিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। ৪২ বলে তাদের যখন দরকার ৫৬ রান, হাতে তখনও ৯ উইকেট। সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে দলকে লড়াইয়ে ফেরান পাকিস্তানি বোলাররা।
যুক্তরাষ্ট্রের মোনাঙ্ক প্যাটেল ৩৮ বলে ৫০, আন্দ্রিয়াস গুস ২৬ বলে ৩৫ আর অ্যারন জোন্স খেলেন ২৬ বলে ৩৬ রানের অপরাজিত ইনিংস।
বিবার্তা/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]