প্রথম ওয়ানডেতে ভারতের কাছে পাত্তা পায়নি দক্ষিণ আফ্রিকা। হেরেছিল ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে যেন কড়ায় গণ্ডায় সেই শোধ নিয়ে নিলো প্রোটিয়ারা।
গেবেরহাতে এবার ভারতকে ঠিক ৮ উইকেটেই হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ৪৫ বল হাতে রেখে পাওয়া এই জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা ফিরিয়েছে স্বাগতিক দল।
বোলাররাই অর্ধেক কাজ সেরে রেখেছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ের লক্ষ্য ছিল মাত্র ২১২ রানের। ওপেনিং জুটিতে রিজা হেনড্রিকস আর টনি ডি জর্জি তোলেন ১৩০ রান। হেনড্রিকস ৫২ করে সাজঘরে ফেরেন।
রসি ফন ডার ডাসেন আউট হন ব্যক্তিগত ৩৬ রানে, তখন জয় থেকে মাত্র ৬ রান দূরে দক্ষিণ আফ্রিকা। ডি জর্জি ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলে অপরাজিতই থেকে যান। ১২২ বলে ১১৯ রানের ঝকঝকে ইনিংসে ৯টি চার আর ৬টি ছক্কা হাঁকান চারটি ওয়ানডে খেলা বাঁহাতি এ ব্যাটার।
এর আগে সমতায় ফেরার এই ম্যাচে ভারতকে মাত্র ২১১ রানে গুটিয়ে দিয়েছিল স্বাগতিকরা। টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের। দলীয় মাত্র ৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় সফরকারীরা।
২ বলে ৪ রান করে বার্জারের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরত যান ওপেনার রুতুরাজ গায়কোয়াড়। তিনে নামা তিলক ভার্মাও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি। থিতু হওয়ার চেষ্টা করে ৩০ বলে ১০ করে আউট হয়ে যান তিনি।
এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল ও ওপেনার সাই সুদর্শন। দুই জনেই দেখেশুনে খেলে ফিফটি হাঁকান। সুদর্শনের ফিফটি কিছুটা ধীরগতির হলেও দলের সম্মানের বাঁচানোর রক্ষক হিসেবে কাজ করেছে এদিন। ৮৩ বলে ৬২ রান (৭ চার আর ১ ছক্কায়) করেছেন এই ভারতীয় ওপেনার।
রাহুল খেলেন ৬৪ বলে ৫৬ রানের ইনিংস। সাতটি চারে ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। মিলারের হাতে ক্যাচ হয়ে বার্জারের দ্বিতীয় শিকার হন এই ডানহাতি ব্যাটার। মূলত এই দুই ব্যাটারের উপর ভর করে সম্মানজনক স্কোর পায় ভারত।
এছাড়া ১৪ বলে ১৭ রান করেছেন রিংকু সিং। শেষদিকে দলের স্কোরকার্ডে ১৮ রান যোগ করেছেন অর্শদীপ সিং। শেষ পর্যন্ত ৪৬.২ ওভারে ২১১ রানেই গুটিয়ে যায় ভারত।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৩০ রান খরচ করে ৩ উইকেট শিকার করেছেন বাঁহাতি পেসার নান্দ্রে বার্জার। দুটি করে উইকেট পেয়েছেন বুইরো হেনড্রিকস ও কেশভ মহারাজ।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]