
তিনবার বিশ্বকাপ খেলে একবারই শেষ ষোলো খেলেছিল ইকুয়েডর, সেটা ২০০৬ সালে জার্মানিতে। চতুর্থবার বিশ্বমঞ্চে তারা, কাতারে দ্বিতীয়বার শেষ ষোলোতে ওঠার হাতছানি তাদের সামনে। এজন্য দক্ষিণ আমেরিকান দেশটিকে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে হার এড়ালেই চলবে। কাজটা মোটেও সহজ হবে না। তাদের প্রতিপক্ষ সেনেগালও একাগ্রচিত্তে অপেক্ষা করছে নকআউটের, যারা গত আসরে ফেয়ার প্লে পয়েন্টে জাপানের পেছনে থেকে গ্রুপ পর্বে বিদায় নিয়েছিল। শেষ ম্যাচে ইকুয়েডরকে হারাতে পারলেই আফ্রিকানরা পেয়ে যাবে বহু প্রতীক্ষিত শেষ ষোলোর দেখা।
ইকুয়েডর গ্রুপের শীর্ষ দল নেদারল্যান্ডসের সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে। কাতারকে ২-০ গোলে হারিয়ে শুরু করা ইকুয়েডরিয়ানরা দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্ভাগ্যবশত নেদারল্যান্ডসকে হারাতে পারেনি। ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা। আফ্রিকান চ্যাম্পিয়ন সেনেগালের কাছে পরাজয়ে মঙ্গলবারই শেষ হয়ে যেতে পারে তাদের বিশ্বকাপ।
তাই ডাচদের বিপক্ষে দারুণ পারফরম্যান্সে আত্মতুষ্টিতে না ভোগার পরামর্শ ইকুয়েডর কোচ গুস্তাভো আলভারোর, ‘আমাদের সামনে বড় একটি লড়াই আসছে।’দেশের রেকর্ড গোলদাতা এনার ভ্যালেন্সিয়ায় চড়ে ২০০৬ সালের পর দ্বিতীয়বার নকআউটে খেলার স্বপ্ন দেখছে দেশটি। এই অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার কাতারে তিন গোল করে ফ্রান্সের কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে যৌথ শীর্ষ গোলদাতার আসনে।
ইকুয়েডর হারলেও গ্রুপ বাধা পেরোতে পারবে, সেক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডসকে হারতে হবে।
অন্যদিকে ডাচদের কাছে ২-০ গোলে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করা সেনেগাল কাতারকে ৩-১ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোর লড়াইয়ে যোগ দিয়েছে। আফ্রিকার চ্যাম্পিয়নরা তাদের তারকা খেলোয়াড় সাদিও মানেকে ছাড়া বিশ্বকাপে খেলছে। ইকুয়েডরের বিপক্ষে আরও ভালো পারফরম্যান্স করলে ২০০২ সালের পর তাদের প্রথমবার নকআউটে খেলা অসম্ভব নয়।
২০ বছর আগে অভিষেকে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা দলটির কোচ আলিউ সিসি বলেছেন, ‘আমাদের একাগ্রতা আরও বাড়াতে হবে। শেষ ষোলোতে ওঠার সুযোগ পেতে আমাদের জিততে হবে।’ অবশ্য ড্র করেও শেষ ষোলোতে উঠতে পারে সেনেগাল, যদি ডাচরা কাতারের কাছে হেরে যায় তিন বা চার গোলের ব্যবধানে।
বিবার্তা/এমএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]