স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ও সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। রবিবার (২৫ জুলাই) হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে স্বাগতিকদের ৫ উকেটে হারিয়ে ম্যাচ ও সিরিজ জিতে নেয় টাইগাররা।

এ দিন অঘোষিত ফাইনালে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে স্বাগতিক জিম্বাবুয়ে। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে ও মারুমানি। ইনিংসের শুরু থেকে ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ৬ ওভারে ৬৩ রানের জুটি গড়ে সাজঘরে ফেরেন মারুমানি। এরপর ব্যাটিং তাণ্ডব চালানো রেগিস চাকাভাকে সাজঘরে ফেরান সৌম্য সরকার। আউট হওয়ার আগে মাত্র ২২ বলে ৬টি ছক্কায় ৪৮ রান করেন চাকাভা।

দুরন্ত শুরুর পর চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে সৌম্যর দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়ে সাজঘরে ফেরেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। তাকে রানের খাতা খোলার সুযোগ দেননি সৌম্য।

ইনিংসের শুরু থেকে অনবদ্য ব্যাটিং করে ফিফটি তুলে নেন ওয়েসলি মাধেভেরে।জিম্বাবুয়ের এ তারকা ওপেনারকে সাজঘরে ফেরান সাকিব আল হাসান। তার স্পিনে বিভ্রান্ত হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৪ রান করেন মাধেভেরে।এরপর ডিয়ন মাইয়ার্সের ২৩ আর রায়ান বুলের অপরাজিত ৩১ রানে ভর করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৩ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে জিম্বাবুয়ে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২০ রানের মাথায় নাঈম শেখ সাজঘরে ফিরেন মাত্র ৩ রান করে।বেশিক্ষণ খেলেতে পারেননি সাকিবও। লুক জঙ্গুয়েকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। স্লটে পেলেও খেলতে চেয়েছিলেন টেনে, ব্যর্থ হয়েছেন তাতেই। ১৩ বলে ২৫ রান করে ফিরেন তিনি।

এরপর ৪৯ বলে ৬৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন সৌম্য সরকার। সৌম্য আউট হওয়ার পর দায়িত্ব নিয়ে খেলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মুজারবানির বলে আউট হওয়ার আগে ২৮ বলে ৩৪ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।সবশেষে ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।

বিবার্তা/আবদাল