শিরোনাম
ক্রিকেটে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডের উদ্ভাবক আর নেই
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২০, ০৮:৪২
ক্রিকেটে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডের উদ্ভাবক আর নেই
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রাকৃতিক দুর্যোগজনিত কারণে ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে কোন ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে এলে, ফল নির্ধারণে এখন ব্যবহৃত হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন মেথড। তবে ২০১৪ সালের আগে এটি ছিল শুধুই ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথড।


এই ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথডের অন্যতম আবিষ্কারক টনি লুইস ৭৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন। বুধবার ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে এ খবর জানানো হয়েছে।


ইসিবির পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তিতে লেখা হয়েছে, ‘টনি লুইসের মৃত্যুর খবর পাওয়াটা বোর্ডের জন্য দুঃখজনক। টনি এবং তার বন্ধু ফ্র্যাঙ্কের কাছে ক্রিকেট বিশ্ব ঋণী। আমরা তার বিদেহী আত্মার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করছি।’


নব্বইয়ের দশকের মাঝামাঝি সময়ে সতীর্থ গণিতবিদ ফ্র্যাঙ্ক ডাকওয়ার্থকে সঙ্গে ক্রিকেটে বৃষ্টির প্রভাব কমিয়ে আনার জন্য একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন টনি লুইস। তাদের দুইজনের নামের শেষাংশ থেকেই এর নামকরণ করা হয় ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথড।


প্রাথমিকভাবে ১৯৯৭ সালে এই পদ্ধতিটি ব্যবহারের উন্মুক্ত হিসেবে ঘোষণা দেন টনি ও ফ্র্যাঙ্ক। প্রায় দুই বছর পরীক্ষামূলকভাবে দেখার পর ১৯৯৯ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকওয়ার্থ-লুইস মেথড গ্রহণ করে আইসিসি। ১৯৯৭ সালের ১ জানুয়ারি সর্বপ্রথম কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচে এই নিয়মের ব্যবহার হয়েছিল।


তবে ২০০৬ সালে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট আবিষ্কারের পর এই নিয়মের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায়। কেননা কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে উইকেটের সঙ্গে রানের ভারসাম্য রেখে খেলার কথা ভাবে খুব কম দলই।


টনি-ফ্র্যাঙ্ক যখন তাদের নিয়ম আবিষ্কার করেন, তখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছিলো না। ফলে এ বিষয় মাথায় রাখেননি তারা। এর সমাধানও অবশ্য হয়ে গেছে এখন।


২০১৪ সালে অস্ট্রেলিয়ান অধ্যাপক স্টিভেন স্টার্ন আরও কার্যকরীভাবে এই নিয়মের হালনাগাদ করেন। যার ফলে এখন এটি ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন মেথড বা সংক্ষেপে ডিএলএস মেথড নামেই পরিচিত।


বিবার্তা/জহির

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com