শিরোনাম
বিশ্বের
সবচেয়ে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশগুলির অন্যতম বাংলাদেশ
প্রকাশ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৯:০১
সবচেয়ে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশগুলির অন্যতম বাংলাদেশ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশগুলির মধ্যে অন্যতম।


তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের তত্ত্বাবধানে বিগত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো গড়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। এর জন্য করোনা মহামারির সময়ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ ধরে রাখা সম্ভব হয়েছে। এছাড়াও করোনাকালীন ১৯ মাসে দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ব্যবসা-বাণিজ্য, প্রশাসনিক, বিচারক ব্যবস্থা সহ সবকিছু সচল ছিল।


বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শাহবাগস্থ জাতীয় জাদুঘরের কবি বেগম সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩০৩টি ডিজিটাইজেশন সেবার উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।


তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের কারিগরি সহায়তায় ‘মাইগভ র‌্যাপিড ডিজিটাইজেশন’ পদ্ধতির আওতায় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ৩০৩টি ডিজিটাইজেশন সেবার উদ্বোধন করেন পলক।


প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০১৬ সালে সজীব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় ই-নথি ব্যবস্থা প্রবর্তন করায় ২ কোটির অধিক ইলেকট্রনিক্স ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়েছে। করোনাকালীন বিভিন্ন অফিসসমূহের লক্ষাধিক কর্মকর্তা ইলেকট্রনিক ফাইল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম ব্যবহার করেছে। এর মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা সাশ্রয়, সময় ও যাতায়াতের হয়রানি থেকে রক্ষা পেয়েছে এবং লকডাউনে কোনো প্রশাসনিক কাজ বন্ধ ছিল না বলে তিনি জানান।
‌প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীন দেশের ৭৩টি লাইব্রেরী, ৩০০ কোটির অধিক টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় আর্কাইভ ডিজিটাইজ এবং আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বাতিঘর বাংলা একাডেমিকে ডিজিটাইজ করার বিষয়ে আইসিটি বিভাগ প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।


সভাপতির বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, মাইগভ র‌্যাপিড ডিজিটাইজেশন প্ল্যাটফর্মের আওতায় ইতোমধ্যে যে সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগের ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে, তার মধ্যে মন্ত্রণালয় ভিত্তিক সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সর্বোচ্চ সংখ্যক সেবার (৩০৩টি) ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। এ থেকে বোঝা যায়, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্র ও কর্মপরিধি কত ব্যাপক। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ের আওতাভুক্ত ১৭টি দপ্তর-সংস্থার মধ্যে ১০টি দপ্তর-সংস্থার ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হয়েছে। বাকি ৭টি সংস্থার র‌্যাপিড ডিজিটাইজেশন সম্পন্ন হলে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডিজিটাইজেশনকৃত সেবার সংখ্যা আরো অনেক বৃদ্ধি পাবে।


কে এম খালিদ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সুযোগ্য, বলিষ্ঠ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার সজীব ওয়াজেদ জয়ের পরামর্শ ও নির্দেশনায় প্রতিটি ঘরে ঘরে ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল পৌঁছে গেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাতাস হতে ফ্রি অক্সিজেন গ্রহণের মূল্য আমরা যেমন বুঝি না, একইভাবে অনেকেই ইতোমধ্যে বাস্তবায়িত ডিজিটাল বাংলাদেশের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করতে পারছেন না ।


অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মনিরুল আলম ও এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক দেওয়ান মো. হুমায়ুন কবির।


বিবার্তা/গমেজ

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com