![](http://www.bbarta24.net/templates/bbarta/images/main-logo.png)
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আর ইয়াসির আরাফাতের নাম শুনে শুনেই বড় হয়েছি আমরা। ফিলিস্তিনের উপর ইজরায়েলের হামলা, গাজা, পশ্চিম তীর, তেল আবিব, জেরুজালেম এই নামগুলো কোন কারণ ছাড়াই আমাদের প্রজন্মের মুখস্থ হয়ে গিয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে হামলা আর রক্তাক্ত লাশের সাথে আমাদের পরিচয় হয়। সেই লাশের সারি দশকের পর দশক ধরে শুধু বাড়ছেই। রক্তাক্ত ফিলিস্তিনের মুক্তি মিলেনি।
গত সপ্তাহে লন্ডনে একটি প্রতিবাদ সমাবেশে শামিল হয়েছিলাম। আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা, পৃথিবীর নানা দেশের মানুষ সেখানে স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবি জানিয়ে সমবেত হয়েছিলেন। সেখানে ইহুদি ধর্মালম্বীরাও গণহত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে সমবেত হয়েছিলেন। গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে ছিলেন সেখানে লেখা ছিল ‘ইহুদিরা গণহত্যা সমর্থন করেন না।’
পৃথিবীর নানা দেশে বিশেষ করে আমেরিকা ও ব্রিটেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বাধীন ফিলিস্তিনের পক্ষে প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করেছেন। অনেক শিক্ষার্থী সেখানে গ্রেফতার হচ্ছেন। কিন্তু ফিলিস্তিনের মুক্তি কি আদৌ সম্ভব? জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোর মধ্যে ১৪৩টি দেশ ইতোমধ্যেই রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী দেশগুলো এখনো ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেয়নি।
অন্যদিকে, ১৬৪টি রাষ্ট্র ইজরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও ২৮টি রাষ্ট্র (মূলত মুসলমান অধ্যুষিত) এখনও ইজরায়েলের সার্বভৌমত্ব মেনে নেয়নি এবং তাদের সাথে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্কও নেই। তবে নিকটতম দুই আরব প্রতিবেশী মিশর ও জর্দানের সাথে ইজরায়েল শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে এবং দেশ দুইটির স্বীকৃতিও লাভ করেছে। পৃথিবীর বহু রাষ্ট্রই দুইটি দেশকেই স্বীকৃতি দিয়েছে, স্বাধীন ফিলিস্তিনের অন্তরায় তাহলে কোথায়?
আমি অনেকদিন যাবত ইজরায়েল-ফিলিস্তিন নিয়ে অনলাইনে ঘাঁটাঘাঁটি করছিলাম। আমরা বহু বছর ধরে শুধু ফিলিস্তিন অংশের বক্তব্যগুলো শুনছি, ফিলিস্তিনের প্রতি তাই আমাদের আবেগের পাল্লাও ভারী, তারচেয়েও বেশি আবেগ ধর্মীয় কারণে। কারণ মক্কা মদিনার পর তৃতীয় স্থানটি দখল করে আছে জেরুজালেম শহরে অবস্থিত মুসলমানদের পবিত্রতম মসজিদ আল-আকসা। মুসলিম জাতির প্রথম কিবলা বলা হয় আল-আকসাকে। কিন্তু ইজরায়েল কোন কারণে সেখানে তাদের দখলদারিত্ব বজায় রেখেছে, সেই দাবির যুক্তি বা রহস্য কি?
ইহুদিরা তাদের পূর্বপুরুষ আব্রাহাম, আইজ্যাক ও জ্যাকব (ইব্রাহীম, ইসহাক ও ইয়াকুব আ.) এর বসবাসের পুণ্যভূমি হিসেবে একে পবিত্রভূমি হিসেবে বিবেচনা করে এবং সেই বিবেচনা থেকে এই ভূখণ্ডকে নিজেদের বসবাসের জন্য প্রতিশ্রুত ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে। খ্রিস্টানরা তাদের ধর্মের প্রবাদপুরুষ যিশু খ্রিস্টের (ঈসা আ.) এর জন্মভূমি হিসেবে একে পবিত্র হিসেবে বিবেচনা করে। অপরদিকে মুসলমানরা বিভিন্ন নবীর জন্ম ও কর্মভূমি এবং রাসূল (সা.) এর মিরাজ যাত্রার স্মৃতি স্বরূপ ফিলিস্তিনকে পবিত্রভূমি হিসেবে মর্যাদা দান করে। সকলের কাছেই পবিত্র বলে বিবেচিত হলেও এই পবিত্রভূমিতে রক্তপাতের পরিমাণ কম নয়। সভ্যতার সূচনালগ্ন থেকেই বিভিন্ন সময়ে এই পবিত্রভূমি বিভিন্ন দখলদার সাম্রাজ্যবাদী শক্তির আগ্রাসনের শিকার হয়েছে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের অধিবাসী হিসাবে ইহুদি ধর্মালম্বীরা তাদের ভূমিতে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। তারা দাবি করে, তাদের চেয়ে প্রাচীন আর কেউই এই ভূখণ্ডের অধিবাসী নয়। এই ভূখণ্ডের আদি বাসিন্দা হিসেবে তাদের এখানে ফিরে আসার অধিকার রয়েছে। স্থানীয় আরব বাসিন্দাদের সম্পর্কে তারা দাবি করে, খ্রিস্টের জন্মের বহু পরে মুসলিম খেলাফতের অধীন হওয়ার পরই ফিলিস্তিনে আরব বাসিন্দাদের আগমন ঘটেছে। ইতিহাস ঘাটলে তাদের সেই দাবিকে অস্বীকার করারও সুযোগ নেই। কারণ চার হাজার বছরের ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়- সেখানে মানব সভ্যতার এবং ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতায় ইহুদি জাতি গোষ্ঠীর অস্তিত্বও স্বীকার করে। ১৯৪৭ সালের নভেম্বর মাস থেকে ১৯৪৯ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ছয় হাজার ইহুদি নিহত হয়েছিল। ইহুদিরা মনে করে তারা যদি সে যুদ্ধে পরাজিত হতো তাহলে আরবরা তাদের নিশ্চিহ্ন করে দিত।
ইসরায়েলিরা মনে করেন ১৯৪৭ সালে জাতিসংঘ সেভাবে দু'টি দেশের স্বীকৃতি দিয়েছিল, সেটি যদি ফিলিস্তিনিরা মেনে নিতো তাহলে ফিলিস্তিন এবং ইজরায়েল নামের দুটি দেশ এখন পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ অবস্থান করত। তাই তাদের ভাষ্য মতে ইসরাইলের জন্যও এই যুদ্ধ আসলে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার যুদ্ধ।
প্রাচীন ইতিহাস হিসাব করলে ফিলিস্তিনের এই যুদ্ধ হাজার বছর গিয়ে ঠেকবে। যদি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী বর্তমান ইজরায়েল রাষ্ট্রের সময়কাল থেকে গণনা করি তাহলে এর ইতিহাস ভারত ভাগের মতো। যেভাবে ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ হয়েছিল ভারতবর্ষ। ভারত ও পাকিস্তান। ঠিকই একই সময়ে জন্ম নিয়েছিল ইজরায়েল। ভারত, পাকিস্তান হয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা- বহু যুদ্ধ ও রক্তাক্ত ইতিহাস আমাদেরও আছে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের দামামা এখনও বেজে ওঠে। কিন্তু ইজরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ চলছেই। এর কি আদৌ কোন যৌক্তিক সমাধান নেই? বছরের পর বছর ধরে এই যুদ্ধ চলতেই থাকবেই?
১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর জাতিসংঘের ১৮১নং প্রস্তাব অনুযায়ী ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে একটি ইহুদি এবং একটি আরব রাষ্ট্র গঠন করার ঘোষণা করা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী পরবর্তী বছর ১৯৪৮ সালের ১৪ মে ব্রিটিশ ম্যান্ডেটের সমাপ্তিতে ফিলিস্তিনের ৫৬ শতাংশ ভূমি নিয়ে ইহুদি রাষ্ট্র ইজরায়েল গঠিত হয়। এর পূর্বে তারা দখলকৃত ভূমির আরব বাসিন্দাদের তাদের আবাস থেকে বিতাড়িত করে সেখানে বহিরাগত ইহুদিদের পুনর্বাসন করে। প্রস্তাব অনুযায়ী ফিলিস্তিনের আরবরা ৪৪ শতাংশ ভূমির অধিকারী হলেও তারা অখণ্ড ফিলিস্তিনের দাবিতে নব্যগঠিত ইজরায়েলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবতীর্ণ হয়। কিন্তু যুদ্ধে ইজরায়েল আরবদেরকে পরাজিত করে ফিলিস্তিনের ৮০ শতাংশের অধিক ভূমি দখল করে। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের এই বিপর্যয়ে সাত লক্ষ আরব ফিলিস্তিনি নিজের আবাস থেকে উৎখাত হয়ে উদ্বাস্তুতে পরিণত হয়। এরা ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ও ফিলিস্তিন ভূখণ্ডের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন প্রতিবেশী রাষ্ট্রের শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। ফিলিস্তিনের জাতীয় ইতিহাসে এই বিপর্যয়কর ঘটনা আল-নাকবা নামে পরিচিত।
এই অখণ্ড ফিলিস্তিন ধারণা শক্তিশালী ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কোন ভাবেই কার্যকর হবে বলে বর্তমান সময়ে বিশ্বাস করা দুরূহ। ভবিষ্যৎ কি সাক্ষ্য দেবে সেটি জানি না।
এই সংকট সমাধানে অসলো চুক্তিই কি মুক্তির পথ?
ইজরায়েল এবং ফিলিস্তিন যে সব ইস্যুতে একমত হতে পারছেন না, এর মধ্যে আছে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের ব্যাপারে কী হবে; পশ্চিম তীরে যেসব ইহুদি বসতি স্থাপন করা হয়েছে সেগুলো থাকবে, নাকি সরিয়ে নেয়া হবে; জেরুজালেম নগরী কি উভয়ের মধ্যে ভাগাভাগি হবে; আর সবচেয়ে জটিল ইস্যু হচ্ছে- ইজরায়েলের পাশাপাশি একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের প্রশ্ন।
গত ২৫ বছর ধরেই শান্তি আলোচনা চলছে থেমে থেমে। কিন্তু সংঘাতের কোনো সমাধান এখনো হয়নি।
অসলো চুক্তি অনুসারে প্যালেস্টাইন অথরিটি নামে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়; যারা পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় স্বায়ত্তশাসন কায়েম করতে পারবেন। এই চুক্তির কারণে পিএলও ইজরায়েলের স্বীকৃত স্থায়ী মিত্র হিসেবে বিবেচিত হবে; যার ফলে বিবদমান প্রশ্নগুলো নিয়ে আলোচনা করার দ্বার উন্মুক্ত হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো ছিল ইজরায়েল এবং ফিলিস্তিনের সীমানা নির্ধারণ, ইজরায়েলিদের আবাসন প্রক্রিয়া, জেরুজালেমের মর্যাদা, ইজরায়েলি সৈন্যদের উপস্থিতি এবং ফিলিস্তিনের স্বায়ত্তশাসন স্বীকার করে নেওয়ার পর মিলিটারি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কী করা হবে ও ফিলিস্তিনিদের ফিরে আসার অধিকারের ব্যাপারে আলোচনা করা। অসলো চুক্তিতে ও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন নিয়ে কিছু বলা হয়নি।
দুইটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্রের পরিবর্তে একক রাষ্ট্র গঠন করে সমাধানের কথা বিকল্প হিসেবে চুক্তিতে বলা হয়েছিল। এর ফলে ইজরায়েল এবং ফিলিস্তিনের সমস্ত অঞ্চলকে একত্র করে একটি রাজ্য বলা হবে এবং একজন সরকার থাকবে। এর ফলে কোনো পক্ষই সমস্ত ভূমিকে নিজের বলে দাবি করতে পারবে না। যা মূলত দুঃস্বপ্ন বা অলীক কল্পনা। ইজরায়েল-ফিলিস্তিন একক রাষ্ট্র হওয়ার আর কোন সুযোগ নাই।
তাই ফিলিস্তিনকে অখণ্ড ফিলিস্তিন ধারণা থেকে ফিরে আসতে হবে। দুটি পৃথক রাষ্ট্র ধারণায় সমাধান খুঁজতে হবে। ১৯৪৮ সালের পর যে সমস্ত অঞ্চল ইজরায়েল দখল করেছে, সেই সব অঞ্চল ফিলিস্তিনকে ফেরত দেয়া, সর্বোপরি জেরুজালেমের একক অধিকার থেকে দুই দেশকেই সরে আসতে হবে। হয় পূর্বে ঘোষিত জাতিসংঘের অধীনে থাকতে পারে। কারণ এই যুদ্ধ আটকে আছে জেরুজালেমে। আমেরিকা বা আরব বিশ্ব নয়- এর সমাধান ফিলিস্তিন-ইজরায়েলকেই খুঁজতে হবে। তার আগে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজা ও ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর বা মূল ফিলিস্তিন এক শাসন ব্যবস্থায় ফিরতে হবে।
সেদিন কথা প্রসঙ্গে এক বন্ধু বললেন, দেশ একটি ধারণা মাত্র, পুরো পৃথিবীটাই আসলে মানুষের। যে ভাবে ধর্মও একটি ধারণা মাত্র। দেশ এবং ধর্মের মারপ্যাঁচে পৃথিবী আজ বিভক্ত। মানুষকে শাসন করার জন্য নেতাদের একটি প্রক্রিয়ার নাম হচ্ছে রাষ্ট্র। আর বারবার যুদ্ধের নামে রক্তাক্ত হয় পৃথিবী, মৃত্যু হয় মানুষের। এই দেশপ্রেম নিয়ে চার্লি চ্যাপলিনের বিখ্যাত কথাগুলো মিলে যায়। চার্লির আমেরিকার নাগরিকত্ব না নেয়া নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেছিলেন, নাগরিকত্ব একটা দেশে থাকার আবশ্যক শর্ত নয়। আর চার্লি সরবে দেশপ্রেমের নিন্দা করেন। চার্লি দেশপ্রেমকে মনে করেন মানুষের সাথে মানুষের বিভেদ বাড়ায়, অপর মানুষের প্রতি ঘৃণার অন্যতম কারণ এই দেশপ্রেম।
চার্লির আত্মজীবনীতে উল্লেখ আছে আমেরিকার পত্রিকাগুলিতে, সরকারের প্রশাসনে তখন ব্যাপক পরিমাণে নাৎসিবাদীদের অনুপ্রবেশ ঘটে গেছে। এরাই নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠেছে আমেরিকার রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের। চার্লি বারবার যখন আবেদনে বলছেন, এই মহাযুদ্ধে সোভিয়েতের পতন হয়ে যদি হিটলারের জয় হয় তবে সমস্ত মানব সভ্যতার পক্ষে সেটা ভয়ংকর হয়ে উঠবে। তাই এই মুহূর্তের আবশ্যিক কর্তব্য নাৎসি বাহিনীর বিরুদ্ধে সোভিয়েতের সমর্থনে দাঁড়ানো। চার্লির এই ভাষ্যকেই আমেরিকার কর্তৃপক্ষ, পত্রিকাগুলি চার্লির দেশপ্রেমকে নিয়ে, নাগরিকত্বের প্রশ্ন নিয়ে আক্রমণ শুরু করে।
কারণ তাঁর সিনেমা মসিয়ে ভের্দুর আলোচিত বক্তব্য ছিল, একজন দুইজনকে হত্যা করলে তাকে রাষ্ট্র, সমাজ খুনি হিসাবে ফাঁসি দেবে। কিন্তু কোনো যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করলে তাকে রাষ্ট্র, সমাজ বীর হিসাবে সম্মান করবে। খুনের সংজ্ঞা হলো নির্ণায়ক বিচার করার, number is the matter.? সেই ধারণাকে আর ও উসকে দিয়েছিল।
চার্লি নিজের বিশ্বাসে অটল ছিলেন। নিজেকে বিরাট দেশপ্রেমিক হিসাবে তুলে ধরার কোন চেষ্টা করলেন না। আমেরিকার নাগরিকত্ব নেবার কোনও চেষ্টাই করলেন না। আমেরিকা থেকে গোপনে সপরিবারে পাড়ি দিলেন ইংল্যান্ডে। সেখান থেকে সুইজারল্যান্ড। আমৃত্যু সুইজারল্যান্ডে থেকেছিলেন কোনো দেশের নাগরিক না হয়ে। বিশ্বের সমস্ত মানুষকে ভালোবেসে গেছেন তাঁর চলচ্চিত্রে, বাস্তব জীবনে, দেশপ্রেমের বিরুদ্ধে চিরকাল সরব থেকে।
শত বছরের রক্তের হোলিখেলা বন্ধ হোক। যোদ্ধার চেয়েও যুদ্ধে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ, নারী, শিশু, ও বৃদ্ধরা। সুন্দর একটা যুদ্ধবিহীন পৃথিবীর জন্য স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা যেমন জরুরি তেমনি জরুরি এই যুদ্ধের অবসান।
(তথ্যসূত্র- অনলাইন)
লেখক - ব্রিটেন প্রবাসী সাংবাদিক
বিবার্তা/রোমেল/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]