
একসময় শীত মৌসুমের শুরুতেই গ্রামগঞ্জের মানুষ গাছ ছিলানো (গাছ কাটা) নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়তেন। কে কার আগে খেজুরগাছ কেটে প্রাকৃতিক সেরা উপাদানসমূহের মধ্যে অন্যতম খেজুর রস সংগ্রহ করতে পারে এই প্রতিযোগিতা চলত। গ্রামের বাজারগুলোতে খেজুরের রস নিয়ে সারবেঁধে বসে থাকতেন গাছিরা। রসের ঘ্রাণে মাছির ভনভন শব্দ এখন আর পাওয়া যায় না। সকালবেলা অনেকের ঘুম ভাঙত খেজুরের রসের মিষ্টি পিঠার সুগন্ধি ঘ্রাণে। পরিবারের সদস্যরা মিলে সকালের নাস্তা করতেন খেজুর রসের তৈরি সুস্বাদু পায়েস ও বিভিন্ন ধরনের পিঠা দিয়ে। এখন মানুষের কাছে খেজুরের রস ও খেজুর গুড় দিয়ে তৈরি খাবারগুলো স্বপ্নের মতো মনে হয় ।
যে হারে দিন দিন খেজুরগাছ নিধন বেড়ে যাচ্ছে, সে তুলনায় রোপণ করা হয় না। এভাবে নিধন হতে থাকলে কয়েক বছর পর খেজুরগাছ খুঁজে পাওয়া দুরূহ হবে। সরকার গ্রামের রাস্তাগুলোর পাশে খেজুরগাছ রোপণের উদ্যোগ নিলে মানুষ আগের মতো খেজুরের রস খেতে পারবে। এক্ষেত্রে বেসরকারি উদ্যাগে বিনিয়োগ জরুরি। পাশাপাশি সবাই সবার অবস্থান থেকে খেজুরগাছ রোপণ করলে গ্রামের সৌন্দর্য বাড়বে। শীতকালের কনকনে শীতের অনুভূতির রেশ দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
লেখক: শিক্ষার্থী ও গণমাধ্যমকর্মী
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]