
আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলো অন্তত ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী দেবে। যা পরের নির্বাচনে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হবে।
২৭ জুলাই, রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপে এ প্রস্তাব দিয়েছে বিএনপি।
কমিশনের প্রস্তাব ছিল, নারী আসনের সংখ্যা ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ করা হবে। এতে সরাসরি নির্বাচন হবে ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে। বিএনপি নারী আসন বৃদ্ধিতে একমত হলেও, সরাসরি নির্বাচনে রাজি নয়। দলটি বিদ্যমান সংরক্ষিত পদ্ধতিতে নারী আসন চায়। এ পদ্ধতিতে সাধারণ নির্বাচনে প্রাপ্ত আসনের অনুপাতে দলগুলোর মধ্যে নারী আসন বণ্টন হয়।
নারী আসন বৃদ্ধিতে একমত জামায়াতে ইসলামীর দাবি, নারী আসন রাজনৈতিক দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে বণ্টন (পিআর) পদ্ধতিতে করতে হবে। অন্যদিকে এনসিপি সরাসরি নির্বাচন চায়।
সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ঐকমত্য কমিশনকে বলেছেন, নারীদের জন্য সরাসরি নির্বাচনের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সংরক্ষিত আসনে নারীর ক্ষমতায়ন হয়নি।
এ নিয়ে আলোচনার মধ্যে রোববার বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ দলটির নতুন প্রস্তাব সম্পর্কে সাংবাদিকদের বলেন, সংরক্ষিত নারী আসন ৫০ থাকবে। তবে অন্তত ৫ শতাংশ আসনে নারী প্রার্থী দেবে দলগুলো। যেহেতু আসন্ন নির্বাচনে সংবিধান সংশোধিত হচ্ছে না, সংসদ না থাকায়, এই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ‘জেন্টালম্যান অ্যাগ্রিমেন্টের’ মাধ্যমে ৩০০ আসনে ৫ শতাংশ অর্থাৎ ১৫ টি আসনে নারীদের সরাসরি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন দেওয়া হবে। যখন সংবিধান সংশোধন হবে, তখন ১০ শতাংশ আসনে নারীদের মনোনয়নের বিধান রাখা হবে।
সরাসরি নির্বাচনের বিরোধিতা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ৫০টি সংরক্ষিত এবং ১০ শতাংশ আসনে মনোনয়নসহ নারী এমপির সংখ্যা ৮০তে উন্নীত হবে। এভাবে যদি সমাজের অগ্রগতি লক্ষ্য করা যায়, তাহলে পরবর্তী সংসদে সরাসরি নির্বাচনের বিধার আরও সম্প্রসারিত করা যাবে।
বিবার্তা/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]