ভাসানী এক মহীরুহের অগ্নিক্ষরা সংগ্রামী জীবন : ন্যাপ
প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৫
ভাসানী এক মহীরুহের অগ্নিক্ষরা সংগ্রামী জীবন : ন্যাপ
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

‘মজলুম জননেতা মওলানা আবুল হামিদ খান ভাসানীর জন্ম না হলে আজকে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের নাগরিক হতাম না। মওলানা ভাসানীর জন্ম না হলে এ ভুখন্ডে পাকিস্তানের জন্ম হতো না, আর পাকিস্তান না হলে বাংলাদেশ নামক এই লাল-সবুজের পতাকার জন্ম হতো না। বাংলাদেশ না হলে আজকে আমাদের এই অবস্থা হতো না। ইতিহাসের সেই মহানায়ক আজ অবহেলিত, বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ।


বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ‘১২ ডিসেম্বর মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর ১৪৪তম জন্মবার্ষিকী’ উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া স্বাধীন বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টার প্রতি গভীরতম শ্রদ্ধা জাানিয়ে বলেন, ‘মওলানা ভাসানী ইতিহাসের এক মহীরুহের অগ্নিক্ষরা সংগ্রামী জীবন। সাম্রাজ্যবাদ, উপনিবেশবাদ, সামন্তবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য ও লড়াই ছিল আপসহীন। ভাসানীর রাজনীতি ছিল তাঁর সমকালীন যুগের তুলনায় অনেক বেশি অগ্রসর।’


তারা বলেন, ‘সময়ের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে মওলানা ভাসানী সর্বভারতীয় রাজনীতি, জাতীয় কংগ্রেস দল, খিলাফত আন্দোলন এবং মুসলিম লীগের নেতৃত্বে পাকিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে পড়েছিলেন। সেখানেই শেষ নয়, পাকিস্তান অর্জনের মাত্র এক দশকেরও কম সময়ের মধ্যেই তিনি পাকিস্তানের একটি বিশেষ শ্রেণির, আধা ঔপনিবেশিক ও আধা সামন্ততান্ত্রিক রাজনীতি এবং শোষণ-শাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। বাংলার মানুষকে স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন।’


নেতৃদ্বয় বলেন, ‘আজীবন মজলুম মানুষের মুক্তির জন্য যিনি লড়াই করেছেন তিনিই হলেন মওলানা ভাসানী। তার কাছে জালিমের যেমন কোনো জাত-ধর্ম থাকত না, তেমনি মজলুম মানুষ কোনো ধর্মের, দেশের, বর্ণের, পেশার সেটা তিনি বিন্দুমাত্র ভাবতেন না। তিনি সবাইকে ছাড়িয়ে অনেক বড় হয়েছেন, ব্যতিক্রম হয়েছেন এইজন্যই যে, তিনি থাকতেন সর্বহারাদের মাঝে, স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ সৃষ্টির কাছে। তিনি চিরকাল শ্রদ্ধায় ও ভালোবাসায় বেঁচে থাকবেন এ দেশের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে।’


তারা বলেন, ‘নিঃস্বার্থ এই জননেতাকে অনেকে অনেকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে তাঁর তিরোধানের পরেও। ফলে এ মহান নেতার সঠিক মূল্যায়ন হয়নি কখনো। মওলানা ভাসানী একজন জাতীয় নেতা অথচ তাঁর জন্ম কিংবা মৃত্যুবার্ষিকীগুলোও পালিত হয় না জাতীয়ভাবে। যারা ভাসানীর সবচেয়ে কাছের, তারাই তাঁকে দূরে ঠেলে দিয়েছে সবচেয়ে বেশি। মওলানা ভাসানীর মতো নেতার জন্য কারো করুণা চাওয়া অবান্তর। কারণ অনাদিকালজুড়ে এ দেশ ও এ জাতি যত দিন টিকে থাকবে, মওলানা ভাসানীকে কেউ অবহেলা কিংবা অবজ্ঞা করতে পারবে না। তাঁর সংগ্রামী আদর্শের মৃত্যু নাই। ইতিহাসই তাঁর সঠিক মূল্যায়ন করবে, তাতে কোনো সন্দেহের অবকাশ নেই। ভাসানী স্মৃতি অমর হোক।’


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com