২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রহসনের রায়ের বিরুদ্ধে মাহবুবউল আলম হানিফের নিন্দা
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:৫৩
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার প্রহসনের রায়ের বিরুদ্ধে মাহবুবউল আলম হানিফের নিন্দা
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ-এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ।


১ ডিসেম্বর, রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই নিন্দা জ্ঞাপন করেন ও প্রতিবাদ জানান।


বিবৃতিতে তিনি বলেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আজকের এই রায় প্রমাণ করে সরকার বিচারব্যবস্থাকে পুরোপুরি জিম্মি করে রেখেছে।


বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, ড. ইউনূসের রিসেট বাটনের যথাযথ কার্যকারিতা আমরা দেখতে পেলাম আজকের এই রায়ের মাধ্যমে। উনি আমাদের সবকিছু ভুলিয়ে দিতে চেয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ২১ আগস্টের নারকীয় হত্যাকাণ্ডের মত ঘটনাকে পুরোপুরি মুছে ফেলার এই অপচেষ্টা।


এই রায়ের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতিতে মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, সুস্পষ্ট এবং সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকার পরও এই প্রহসনের রায় জাতির জন্য লজ্জার। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি আবদুল হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আদালতে উপস্থাপিত মুফতি হান্নানের জবানবন্দিতে বলা হয়, বিএনপি-জামায়াত সরকারের শীর্ষ কয়েকজন ব্যক্তির সহায়তায় তিনি আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল।


জবানবন্দিতে উল্লেখ করা হয়, বিএনপি সরকারের উপমন্ত্রী আব্দুল সালাম পিন্টুর ভাই মাওলানা তাজউদ্দিনের মাধ্যমে পিন্টুর সাথে প্রথম যোগাযোগ হয়। এরপর তার মাধ্যমে তারা তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের কাছে কাছে যায়। লুৎফুজ্জামান বাবর এবং কুমিল্লার তৎকালীন সংসদ সদস্য কায়কোবাদকে সঙ্গে নিয়ে তারা হাওয়া ভবনে যায়।


মুফতি হান্নান তার জবানবন্দিতে জানিয়েছে, হাওয়া ভবনের বৈঠকে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, হারিছ চৌধুরী, লুৎফুজ্জামান বাবর, ডিজিএফআই-এর তৎকালীন প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) রেজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী এবং ব্রিগেডিয়ার (অব.) আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন। তাদের উপস্থিতির কিছুক্ষণ পর তারেক রহমান সেখানে আসেন। এমনটাই জানা যাচ্ছে আদালতে দেয়া মুফতি হান্নানের জবানবন্দি থেকে। মুফতি হান্নানের ভাষ্য অনুযায়ী, তার সহযোগীরা যাতে হাওয়া ভবনে আর না আসে সেটি জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, " আপনারা বাবর সাহেব এবং আব্দুস সালাম পিন্টুর সাথে যোগাযোগ করে কাজ করবেন।"


বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট। এতে কি প্রমাণিত হলো? দেশে কি ২১ আগস্টে কিছুই ঘটেনি? পাকিস্তান থেকে নিয়ে আসা আর্জেস গ্রেনেডগুলো কি আকাশ থেকে আওয়ামী লীগের সমাবেশস্থলে পড়েছিল? ২৪ জন মানুষের নিহত হয়েছিল, ৫০০ জন আহত হয়েছিল এমনি এমনিতেই?


মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আজ এই রায়ের মাধ্যমে আরেকবার প্রমাণিত হলো, এই সরকার বিচারব্যবস্থাকে পুরোটাই জিম্মি করে রেখেছে। দেশে মব জাস্টিসের নামে মব কিলিং করে বিচারহীনতার যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে এটার মূল্য অচিরেই চুকাতে হবে।


বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাই।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com