জাসদ আলোচনা সভা ও শিখা চিরন্তনে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করেছে
'দেশে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার ও মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ চলছে'
প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫:০০
'দেশে পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার ও মুক্তিযুদ্ধে পরাজয়ের প্রতিশোধ চলছে'
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

প্রতি বছরের মত আজ ১ ডিসেম্বর জাসদ মুক্তিযোদ্ধা দিবস পালন করেছে। দিবসটি উপলক্ষ্যে আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) ভোর ৬টায় জাসদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়।


জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষ থেকে সকাল ৯টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনে পুষ্প স্তবক অর্পণ করা হয়।


এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, জাসদ সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সফি উদ্দিন মোল্লা, জাতীয় শ্রমিক জোট সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সাইফুজ্জামান বাদশা, জাতীয় যুব জোট সভাপতি শফিরফুল কবির স্বপন, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কাজী সাইমুল হক প্রমুখ।


জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে সকাল ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।


জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লার সভাপতিত্বে ও জাসদের জনসংযোগ সম্পাদক শরিফুল কবির স্বপনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জাসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত রায়হান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহম্মদ মোহসীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর্জা মো. আনোয়ারুল হক, জাসদ নেতা হুমায়ুন কবির সর্দার, জাসদ নেতা আহসান হাবীব শামীম, জাতীয় শ্রমিক জোটের সহ-দফতর সম্পাদক মঞ্জুর হোসেন চমন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র) রাশিদুল হক ননী প্রমূখ।


আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দীর্ঘ বীরত্বপূর্ণ স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ৩০ লক্ষ শহীদের রক্ত, ৩ লক্ষ নারীর সম্ভ্রম, সাড়ে সাত কোটি মানুষের অবর্ননীয় কষ্টের বিনিময়ে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা বাঙালি জাতির ইতিহাসে সবচাইতে বড় গৌরব ও অহংকারের বিষয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় স্বাধীনতার ৫৩ বছর পরও ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতা করে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অংশ হিসাবে বাঙালি জাতির উপর সংঘটিত বর্বর যুদ্ধাপরাধ-গণহত্যা-নারীধর্ষণ-নির্যাতন-অগ্নিসংযোগ-লুটপাটে যুক্ত জামাত, মুসলিম লীগ, নেজামে ইসলাম, ইসলামি ছাত্র সংঘ(শিবির), রাজাকার, আলবদর, আলশামস, পিস কমিটির মতই এদেশের কিছু নাগরিক এখনও মুক্তিযুদ্ধ মেনে নেয়নি, এখনও তাদের জাতি বিরোধী, দেশ বিরোধী অপরাধের জন্য ক্ষমা চায়নি। বরং মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এই শক্তি ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর মতাদর্শ ধারণ করে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে তাদের পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে গোলাম আযমের মত 'পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার' করার রাজনীতিই করে চলেছে।


বক্তারা বলেন, রিসেট বাটন পুশ করে মুক্তিযুদ্ধকে মুছে দিতে চাইছে, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধসহ স্বাধীনতা সংগ্রামী ও মুক্তিযোদ্ধাদের, ৩০ লক্ষ শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তুলে শহীদদের অপমানিত করে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তির ক্রীড়নক অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের উপর প্রতিশোধ নিতে, প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের আইন পরিবর্তণ করে সেই ট্রাইব্যুনালেই স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম অগ্রসেনানী হাসানুল হক ইনুসহ বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিচারের প্রহসন করছে।


বক্তারা আরো বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বিচার অপচেষ্টা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র, সংবিধান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ এর সম্পূর্ণ পরিপন্থী। বক্তারা, সাজানো ট্রাইব্যুনালে বীরমুক্তিযোদ্ধাদের বেআইনি প্রহসণমূলক বিচার বন্ধ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রনোদিত রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক ঢালাও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে বীরমুক্তিযোদ্ধা জননেতা হাসানুল হক ইনুসহ সকল মুক্তিযোদ্ধা ও রাজবন্দীর অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।


বিবার্তা/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com