অন্তর্বর্তী সরকারকে ধৈর্য ধরে সহযোগিতা করতে হবে। তবে সংস্কারের পাশাপাশি এই সরকার নির্বাচনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্য তা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
১৫ সেপ্টেম্বর,রবিবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্তবর্তীকালীন সরকার সংস্কারের মধ্য দিয়ে অতিদ্রুত একটি নির্বাচনে যাবে। নির্বাচন হবে অবাধ ও সুষ্ঠু, যার মাধ্যমে জনগণের হাতে ক্ষমতা যাবে। সেখানে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে একটি মহল।
তিনি আরও বলেন, অনেক দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এমন কথা বলছেন যেগুলো সামগ্রিক ঐক্য'র জন্য উপযুক্ত নয়। এটা একটা সমস্যা। আমরা জানি এই প্রশাসন এখনো ফ্যাসিবাদ মুক্ত হতে পারেনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আমাদের সবচেয়ে বড় প্রয়োজন সবার মাঝে ঐক্য ধরে রাখা, ধৈর্যধারণ করা। সরকারের সমস্ত কাজকে সমর্থন দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। শিল্প কারখানায় যারা অস্থিরতা তৈরি করছে তারা কিন্তু ফ্যাসিবাদের দোসর। এটা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে।
সব সংস্কার কি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার করবে নাকি পরবর্তী সরকার করবে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে আগেও বলছি এখনো বলছি নির্বাচনকালীন যে সংস্কার প্রয়োজন অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী- এইগুলোর সংস্কার প্রয়োজন। আর অন্যান্য সংস্কার নির্বাচিত সরকার করতে পারবে। সবচেয়ে বেশি নির্বাচনকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ একটা নির্বাচন কমিশনকে সংস্কার করতে দু্ইমাস সময় লাগার কথা না।
বিএনপি-আওয়ামী লীগ মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এটা পরিকল্পিত অপপ্রচারণা। যারা ফায়দা লুটতে চাই তারা এমন প্রচারণা চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগ কোন গণতান্ত্রিক দল নয়। বিএনপি হচ্ছে গণতন্ত্রকে জীবন্ত করার একটি দল। কারণ ১৯৭৫ সালে বিএনপি একদলীয় গণতন্ত্রকে বহুদলীয় গণতন্ত্রে রূপান্তর করেছে।
বিবার্তা/জেনি/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]