এক ফোঁটা রক্ত ঝরুক আমরা চাইনি: আমিনুল ইসলাম আমিন
প্রকাশ : ২৯ জুলাই ২০২৪, ১৭:৩৮
এক ফোঁটা রক্ত ঝরুক আমরা চাইনি: আমিনুল ইসলাম আমিন
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেছেন, কারো মৃত্যুই আমাদের কাম্য ছিল না। এক ফোঁটা রক্ত ঝরুক- আমরা তাও চাইনি। ওদের রক্তের দরকার ছিল। তাই আন্দোলনের প্রথম ১৫ দিন কাউকে একটা ফুলের টোকাও দেওয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী ছাত্রলীগকে নির্দেশ দিলেন- তোমরা হল থেকে বের হয়ে যাও, তারা লাশ ফেলতে চায়। তারপর তারা বিজয় ৭১ হলে ছাত্রলীগের উপর হামলা করে। আমাদের ব্যর্থতা, এবিষয়টি জাতিকে আমরা বোঝাতে পারিনি। ওরা লাশ ফেলতে না পেরে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে।


২৯ জুলাই, সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘সন্ত্রাস, নাশকতা ও বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। মুক্ত আলোচনার আয়োজন করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন গৌরব ’৭১।


আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, বিশ্বের কোথাও এমন কোনো দেশ আছে যেখানে স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর স্বাধীনতা পরাজিত শক্তি আস্ফালন দেখায়? এই ক্ষত-বিক্ষত বাংলাদেশ কি আমরা কল্পনা করেছিলাম? তাহলে আমরা এখানে আসলাম কেন? দায় চাপানোর সংস্কৃতি, আমাদের কি ক্রমশ অন্ধ করে দিচ্ছে না? আমাদের বিভাজনকে স্পষ্ট করছে না? এর শেষ কোথায়? তাদের সুনিপুণ পরিকল্পনা ছিল যার কারণে তারা সারা বিশ্বকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছে এই দোষ আমাদের। আমাদের কোনো দায় না থাকার পরও জাতিকে, বিশ্বকে বোঝাতে পারিনি। আসলে এই সকল দায়ই একাত্তরের পরাজিত শক্তির।


তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনের সমন্বয়করা আন্দোলন প্রত্যাহারের কথা জানিয়েছে। যেখান থেকেই বলুক, তা যৌক্তিক। আজকের যে জেনারেশন তাদের নিয়ে ভাবতে হবে। এদের টোটাল বিয়োগ করলে আমরা কাকে নিয়ে রাজনীতি করবো? আমরা শুধু মুখে দাবি করছি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। এর সমাধান পেতে হলে আমাদেরকে বঙ্গবন্ধুর কাছে ফেরত যেতে হবে।


আমিন বলেন, আমি স্বীকার করছি, এর দায় আমাদের৷ এর দোষ আমাদের। যারা ঘটাল তাদের কি কোনো দোষ ছিল? না, দোষ ছিল না। তাদের সুনিপুণ পরিকল্পনা ছিল। ব্যর্থতা অপরাধ নয়, ভুল অপরাধ নয়, ব্যর্থতা থেকে যদি শিক্ষা নিতে পারি এরচেয়ে সফলতা আর হয় না। কিন্তু সেই শিক্ষা কি আমরা নিবো?


২০১৩ সালে হেফাজতের সময় বলা হয়েছে ১০ হাজার লোক মারা গেছে। পরে দেখা গেলা ৪৩ জন। এরপর গণমাধ্যম খুঁজে দেখল মৃত্যু তালিকায় যাদের নাম তারা কেউ মক্তবে, কেউ কাজে। আমরা কি হেফাজত থেকে শিক্ষা নিয়েছি? আমরা পারিনি, বলেন তিনি।


মুক্ত আলোচনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি। জাতীয় সংসদের হুইপ ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম এমপি'র সভাপতিত্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন এমপি, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ ও সহ-সভাপতি ঝুনা চৌধুরী, অধ্যাপক ড. শাহীনুর রহমান।


গৌরব ’৭১ -এর সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীনের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন গৌরব ’৭১এর সভাপতি এসএম মনিরুল ইসলাম মনি, আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ সালাউদ্দিন চৌধুরী ও শেখ মেহেদী হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাহিমা আক্তার মুক্তা ও ছাত্রলীগের স্কুল ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রাজিব আহমেদ।


বিবার্তা/সোহেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com