২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘মানুষ শোষণের হাতিয়ার’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সরকার কর্তৃক জনগণকে নিয়ে আরও একটি করুণ ও হৃদয়বিদারক প্রতারণার কথাই মনে করিয়ে দেয়।

৬ জুন, বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় সংসদে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের পর এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের এ মন্তব্য করেন তিনি।

জনপ্রতিনিত্ববিহীন এই সরকারের বাজেট ঘোষণার কোনো নৈতিক অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।

মঈন খান বলেন, একটি মৌলিক বিষয় হচ্ছে, আওয়ামী লীগ আজ অন্যায়ভাবে গায়ের জোরে সরকারের ক্ষমতা দখল করে আছে। কাজেই এদেশের ১৮ কোটি মানুষের আগামী বছরের ভাগ্য নির্ধারণে জনপ্রতিনিত্ববিহীন এই সরকারের কোনো নৈতিক অধিকার নেই এবং এটাই হচ্ছে আজকের দিনে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য।

তিনি বলেন, এক কথায় বলতে গেলে, এই পুরো বাজেট প্রক্রিয়াটি হচ্ছে এ দেশের দরিদ্র্য মানুষকে শোষণের জন্যে আওয়ামী লীগ সরকারের সাজানো একটি হাতিয়ার। এই কল্পনার ফানুস - একদিকে দেশের বর্তমান ধ্বংসপ্রায় দুর্নীতিগ্রস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ নিয়ে এবং অন্যদিকে দেশের গণমানুষের চলমান ত্রাহি ত্রাহি অর্থনৈতিক বাস্তবতার সাথে এক নিষ্ঠুর খেলা মাত্র। ফলশ্রুতিতে দেশের ভহিষ্যৎ চিন্তায় এ বাজেট দেয়া না দেয়ার কোনোরকম সম্পর্ক তো নেই-ই, বরঞ্চ এই অলিগার্কিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় সরকারের নির্বাচন নাটকের পরে আগামী বছরের এই বাজেট সরকার কর্তৃক জনগণকে নিয়ে আরো একটি করুণ ও হৃদয়বিদারক প্রতারণার কথাই মনে করিয়ে দেয়।

অবশ্য বিএনপির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাজেট নিয়ে প্রতিক্রিয়া এখনও জানানো হয়নি। মঈন খান ব্যক্তিগতভাবে এই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

বিবার্তা/লিমন