
ওবায়দুল কাদের বলেন, সংরক্ষিত আসনের জন্য মনোনয়ন নেওয়ার বা চাওয়ার যে হিড়িক, সেই তুলনায় আমাদের দেওয়ার সুযোগ খুব কম। আমরা আমাদের পরীক্ষিত, ত্যাগীদের গুরুত্ব দেব। যারা দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন, যারা আমাদের দুঃসময়ের পরীক্ষিত কর্মী, তাদের ব্যাপারটা আমরা অগ্রাধিকার দেব।
তিনি বলেন, সংরক্ষিত আসনে দলগতভাবে ৩৮টি, আর স্বতন্ত্র থেকে ১০ জন মিলিয়ে ৪৮টি মনোনয়ন দেওয়া হবে।
৩১ জানুয়ারি, বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডি রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির কালো পতাকা মিছিল প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কর্তৃপক্ষের অনুমতি না নিয়ে তারা রাজপথে ফ্রি স্টাইল করবে আর আমরা চুপচাপ বসে থাকব? এটা মনে করার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, বিএনপির নেতারা কী বক্তব্য দিচ্ছেন, এর প্রতি দেশের মানুষের কোনো আগ্রহ নেই। আমাদের কোনো আগ্রহ নেই। পথ হারা পথিকের মতো দিশেহারা বিএনপি।
বর্তমান সংসদের ভারসাম্য রক্ষা হয়নি, জিএম কাদেরের এমন বক্তব্যের জবাবে তিনি বলেন, কথা তো যা বলার উনি একাই বললেন। গতকাল দেশের প্রধানমন্ত্রীও কথা বলেননি। আমরা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করেছি। স্পিকারকে ধন্যবাদ জানানোর নামে ফ্লোর নিয়ে তিনি গতকাল যেসব কথা বলেছেন তা ঠিক হয়নি। সামনে আরো সময় ছিল তখন অনেক কথাই বলতে পারতেন। তিনি শুরুটাই এমনভাবে করলেন যে তুলকালাম কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন, লম্বা একটা বক্তৃতা দিলেন। বিষয়টা হলো ধন্যবাদ জানানোর। এত লম্বা ভাষণের জন্য ওনাকে আহ্বান করা হয়নি। উনি নিয়ম লঙ্ঘন করে কথা বলেছেন। ওনার কথা বলার সামনে যথেষ্ট সুযোগ আছে। স্বাধীনতার পর এদেশে একজন বিরোধীদলীয় নেতা ছিল, এখন তো তারাই ১১ জন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মারুফা আক্তার পপি প্রমুখ।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]