বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনে (বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গা) আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী আব্দুর রহমান বলেছেন, স্বাধীনতার পর যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে রাস্তা ছিল না, ঘাট ছিল না। সে সময় খাদ্য সংকটে ভুগছিলেন দেশবাসী। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে দারিদ্রতা থেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

ঠিক ৭৫‘র ১৫ আগস্টে ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের ১৮জনকে হত্যা আওয়ামী লীগকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন।

১৯৮১ সালে দেশে আসার পর শেখ হাসিনা চারবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করছেন। তিনি বাংলাদেশে ১৫ বছরে সকল পর্যায়ে দৃশ্যমান উন্নয়ন করে বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে দেশকে পরিচিত করেছেন। উন্নয়নের বাংলাদেশ হিসেবে বিশ্ববাসী বাংলাদেশকে এখন এক নামে জেনেছেন।

আমরা এই এলাকায় অনেকেই মনোনয়ন চেয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে মেনে নিয়েই আমরা কাজ করছি। যারা দলের বাইরে গিয়ে কাজ করছেন তারা দলীয় সিদ্ধান্ত মানছে না।

তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার অনেক উপাদান রয়েছে। শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট চাইতে গেলে কাউকে গালি খেতে হবে না।

নির্বাচনী এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে আব্দুর রহমান বলেন, গত ১০ বছর আমি এমপি ছিলাম। তিন উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে অনেক উন্নয়ন করেছি। যা আমার সমালোচকরা উন্নয়নের কথা বলাবলি করে। এলাকায় বাকি উন্নয়ন কাজ সম্পূর্ণ করতে আপনাদের আবারো শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে।

২২ ডিসেম্বর, শুক্রবার দুপুরে বোয়ালমারী পৌরসদরের অডিটরিয়াম চত্বরে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল সিকদারের সভাপতি কর্মী সভায় আব্দুর রহমান এ কথাগুলো বলেছেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম বাকের ইদ্রিসের সঞ্চালনায় কর্মী সভায় আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএম মোশাররফ হোসেন মুশা মিয়া, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান মীরদাহ পিকুল, বোয়ালমারী পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সেলিম রেজা লিপন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আসাদুজ্জামান মিন্টু, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. আজিজুল হক আজিজ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মুন্সী সেলিম হোসেন, বিমান রায়, ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো. খায়ের মিয়া, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মৃধা মিলন, কাউন্সিলর আব্দুল মান্নান মোল্যা, চতুল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সদস্য শরীফ সেলিমুজ্জামান লিটু, ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি জহুরুল ইসলাম জনি, সাধারণ ফয়সাল আহমেদ রবিন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের উপ-মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান সোহেল, সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন, পৌর আ.লীগের সদস্য রাহাদুল আকতার তপন, কেন্দ্রীয় উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহসভাপতি খন্দকার ওমর হাফিজ মুক্তি, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মনজুর রহমান তুষার, বোয়ালমারী পৌর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আমিরুল ইসলাম পলাশ, পরমেশ্বরদী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইনামুল শেখ, সাতৈর ইউনিয়নের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, দাদপুর ইউনিয়নের সভাপতি শামীম ওসমান, বোয়ালমারী ইউনিয়নের সভাপতি শাহজাহান শেখ, ময়না ইউনিয়নের সভাপতি হাসিবুল ইসলাম সবুজ প্রমুখ।

বিবার্তা/মিলু/সউদ