১৭৭, ঢাকা-৪
ব্যালটে নৌকা না থাকলে জনগণ ভোট দিতে চায় না: সানজিদা খানম
প্রকাশ : ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:৩৮
ব্যালটে নৌকা না থাকলে জনগণ ভোট দিতে চায় না: সানজিদা খানম
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এডভোকেট সানজিদা খানম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অথচ ঢাকা-৪ আসনে দশ বছর নৌকা নেই। এইবার ঢাকা-৪ আসনের জনগণ জানিয়ে দিয়েছে তারা জাতীয় পার্টির পক্ষে কাজ করতে চায় না। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা লাঙ্গলের পক্ষে কাজ করতে চায় না। গতবার ব্যালটে নৌকা ছিল না- তাই ভোটকেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গল আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর হাতি মিলেও ৫০ হাজারও ভোট পায়নি। অথচ নবম সংসদ নির্বাচনে নৌকা নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থীর থেকে প্রায় ৫০ হাজার ভোট বেশি পেয়ে নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসেবে জনগণ আমাকে জয়যুক্ত করেছিল। বাস্তবতা এই, ব্যালটে নৌকা না থাকলে জনগণ ভোট দিতে চায় না?


রবিবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কদমতলী থানা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কর্মী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।



সানজিদা খানম বলেন, জাতীয় পার্টি আছে থাকুক। তারা নৌকার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নির্বাচন করুক। জনগণ যদি তাকে ভোট দেয়, তাহলে তিনি নির্বাচিত হবেন। নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে। সরকার দলের লোক হিসেবে আশ্বস্ত করতে চাই কেউ আপনাদেরকে বাধা দিবে না। জনগণ যাকে ভোট দিবে সেই নির্বাচিত হবে।


তিনি বলেন, ঢাকা-৪ আসনের আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা সকল আন্দোলন সংগ্রামে ছিলেন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর পাঁচবছর এমপি ছিলাম। ওই প্রথম পাঁচ বছরে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে ঢাকা-৪ আসনে আমরা উন্নয়ন করেছিলাম। ঢাকা-৪ নির্বাচনী এলাকায় কোনো সরকারি হাই স্কুল ছিল না। আমরা প্রথম জুরাইন শেখ কামাল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় করেছি। এই এলাকার মানুষকে ভোটার হতে গেলে ১৫ কিলোমিটার দূরে যেতে হত। ঢাকা শহরের প্রথম সার্ভার স্টেশন আমরা ধোলাইরপাড়ে স্থাপন করেছি। ঢাকা শহরে সর্বপ্রথম শ্যামপুরে ইকো-পার্ক করেছি। প্রতিটি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র নির্মাণ করেছি।


সানজিদা খানম বলেন, আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। এজন্য জুরাইনে কবরস্থানের জায়গায় কবরস্থান ফিরিয়ে দিয়েছি। জুরাইন কবরস্থানে মসজিদ ছিল না আমরা মসজিদ নির্মাণ করেছি। পোস্তাগোলা মহাশ্মশান বিএনপি জামায়াতের দখলদাররা দখল করেছিল, আমরা দখলমুক্ত করে মহাশ্মশানের জায়গা শ্মশানকে ফিরিয়ে দিয়েছি।



কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ হুমায়ুন কবির।


বিবার্তা/সোহেল/রোমেল/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com