
পৃথক মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে জামিন দেননি আদালত।
২৯ নভেম্বর, বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শুনানি শেষে তাদের জামিন নামঞ্জুর করেন।
নাশকতা ও বিস্ফোরকের ঘটনায় রাজধানীর শাহজাহানপুর থানায় মির্জা আব্বাসের নামে মামলা হয়। গত ৩১ অক্টোবর রাতে শাহজাহানপুরের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১ নভেম্বর মির্জা আব্বাসের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর গত ৫ নভেম্বর রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। এরপর এ বিষয়ে আজ (বুধবার) মির্জা আব্বাস জামিন আবেদন করলে শুনানি শেষে ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ বিলকিস আক্তারের আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।
এদিকে, রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা অস্ত্র ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ফয়সাল আতিক বিন কাদের।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর ঢাকার সিএমএম আদালত আলালের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নথি থেকে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় এজাহারনামীয় এবং অজ্ঞাতনামা পলাতক আসামিরা পল্টন থানা এলাকায় পুলিশ ক্যান্টিনে ভাঙচুর করে এবং পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে ইটপাটকেল মেরে জাদুঘরের গ্লাস ভেঙে ক্ষতিসাধন করে। মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। চানমারী পুলিশ লাইন্সের ডিউটি পোস্টে অগ্নিসংযোগসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় গত ১ নভেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে। এ মামলায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে প্রধান আসামি করা হয়।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]