নির্বাচনে অংশ না নিলে জনবিচ্ছিন্ন হতে পারে বিএনপি
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ১০:২৩
নির্বাচনে অংশ না নিলে জনবিচ্ছিন্ন হতে পারে বিএনপি
সানজিদা আক্তার
প্রিন্ট অ-অ+

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আসন্ন পাঁচ সিটি নির্বাচনে নতুন হাওয়া লেগেছে জাতীয় পার্টি ও ইসলামী আন্দোলনের অংশগ্রহণে। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী তো আছেই। এ ধারা বজায় থাকলে জাতীয় নির্বাচনে জনবিচ্ছিন্ন হতে পারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।



জমে উঠেছে ভোটের প্রচার-প্রচারণা। দুই দলই বলছে, তারা আওয়ামী লীগের কোন্দল আর বিএনপির শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চায় ভোটের মাঠে৷ সদ্য সমাপ্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরেছে নিজেদের কোন্দলে।



সংসদের বর্তমান বিরোধীদল জাতীয় পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, তৃণমূল বিএনপি, জামায়াত, গণঅধিকার পরিষদ, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি) আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে


তৃণমূল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অন্তরা সেলিমা হুদা গত ৬ মে দুপুরে গুলশানে এক সংবাদ সম্মেলনে আগামী নির্বাচনে সারাদেশে তিনশো আসনে প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছেন বলে জানান।


এছাড়া, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশো আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে জামায়াত। নিবন্ধন বাতিল হওয়া দলটি এক্ষেত্রে কৌশল হিসেবে স্বতন্ত্র প্রার্থী দেবে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণের দায়িত্বশীল এক নেতা বিবার্তাকে বলেন, ‘রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে জোট করা। আবার রাজনৈতিক কৌশল হিসেবেই জোট ভাঙতে পারে।’


‘আর একক সংগঠন হিসেবে জামায়াত এখন ব্যাপক জনপ্রিয় দল। আমরা এই সুযোগ হাতছাড়া করতে চাই না। ৩০০ আসনে এককভাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’ বলেন তিনি।


পাশাপাশি, গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, খুব অল্প সময়ের মধ্যে গণঅধিকার পরিষদ দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে সাড়া ফেলেছে। ভোটের পরিবেশ সুষ্ঠু হলে গণঅধিকার পরিষদ ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে


গত ২৮ জানুয়ারি দুপুরে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সদস্য ফরম উন্মোচন ও শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।


এছাড়া দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছে ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি)। গত বছরের ১৫ অক্টোবর জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে পার্টির চেয়ারম্যান শেখ ছালাউদ্দিন ছালু এ ঘোষণা দেন


তিনি বলেন, এনপিপি নির্বাচনমুখী দল। আমরা গত নির্বাচনেও ৮২টি আসনে অংশ নিয়েছি। দ্বাদশ নির্বাচন ইভিএম বা ব্যালট যে ভাবেই হোক, এনপিপি তাতে অংশ নেবে।


দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপি অবশ্য এটাকে অন্যভাবে দেখছে। সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, এবার কোনো নির্বাচনে অংশ নিয়ে আমরা কোনো ধরনের ফাঁদে পড়তে চাই না।


দলটি ২০২১ সালের মার্চের পর থেকে সরকারের অধীনে কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেনি। দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে ২০২২ সালে বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার ও মনিরুল হক সাক্কু নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে দল তাদের বহিষ্কার করে। চলমার নির্বাচনগুলোতে বহিষ্কার করা হয়েছে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারীদের।


কিন্তু সিটি নির্বাচনে জাতীয় পার্টির ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সব সিটিতে মেয়র পদে মনোনয়ন দিয়েছে।


আগামীতে সব ধরনের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল জাতীয় পার্টি। গত ৪ মে রাজধানীতে পার্টির এক অনুষ্ঠানে নির্বাচনী মাঠে সমান সুযোগ করে দিতে নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের।


সেই ধারাবাহিকতায় পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছেন এমএম নিয়াজউদ্দিন, রাজশাহীত সাইফুল ইসলাম স্বপন, বরিশালে ইকবাল হোসেন তাপস, খুলনায় শফিকুল ইসলাম মধু ও সিলেটে মেয়র পদে লড়বেন নজরুল ইসলাম বাবুল


জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের প্রেস সেক্রেটারি খন্দকার জালাল বিবার্তাকে জানান, দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তারা সব নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। তার নমুনা হিসেবে পাঁচ সিটিতে প্রার্থী দিয়েছে।


অন্যদিকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলটি মেয়র পদে প্রার্থী হিসেবে দলের কেন্দ্রীয় জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমকে বেছে নিয়েছে বরিশাল সিটি করপোরেশনের জন্য। গাজীপুরে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, খুলনায় দলের নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা আবদুল আউয়াল, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রাজশাহী মহানগর সহসভাপতি হাফেজ মাওলানা মুরশিদ আলম ফারুকীকে মনোনয়ন দেয়া হয়।


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৮ আসনের মধ্যে ২৯৭ টিতেই প্রার্থী দিয়েছিল দলটি। হাতপাখা প্রতীক নিয়ে সর্বাধিক আসনে ভোটযুদ্ধে নেমে দলটির মনোনীত প্রার্থীরা পেয়েছেন ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৮০০ ভোট। তবে একজন বাদে বাকি সবাই জামানত হারান। দলটি ভোট পেয়েছিল মোট ভোটের ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ভোটের হিসাবে দলটির অবস্থান চতুর্থ হলেও প্রার্থী দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান সবার উপরে।


নেতারা বিবার্তাকে বলেন, আওয়ামী লীগের দলাদলি এখন প্রকাশ্যে যা ভোটের মাঠে একটা ফ্যাক্টর হবে। বিএনপিও অংশ নিচ্ছে না তাদের ভোটগুলো টানার সুযোগ আছে।


তারা আরো বলেন, রংপুর সিটিতেও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল। যেখানে সরকার দলীয় প্রার্থী জামানত হারিয়েছে।


আর পাঁচ সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র পদে নৌকার প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামী লীগ। গাজীপুর, সিলেট ও বরিশালে নিজেদের প্রার্থী বদল করেছে ক্ষমতাসীনরা। রাজশাহী ও খুলনায় বর্তমান মেয়রকেই মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। প্রার্থী বদল করা হয়েছে। এই তিন সিটির মধ্যে গাজীপুর ও বরিশালে আওয়ামী লীগের দলীয় কোন্দর চরমে আর সিলেটে আগের শক্তিশালী অবস্থান নেই। গাজীপুর সিটিতে কোন্দলে জেরে হেরে দলের মনোনীত প্রার্থী আজমত উল্লা খান।


গাজীপুরে সাময়িক বরখাস্ত বর্তমান মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে বাদ দেয়া হলেও তার মা লড়ছেন এবারের নির্বাচনে৷ বিজয়ী হন জাহাঙ্গীরের মা। অন্যদিকে বরিশালে আবুল খায়ের আবদুল্লাহের পাশে দেখা যাচ্ছে না দলের কাউকে। সিলেট সিটিতে আগে থেকেই দুর্বল ক্ষমতাসীনরা।


আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন গাজীপুরে অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান, বরিশালে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ, সিলেটে আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, রাজশাহীতে খায়রুজ্জামান লিটন ও খুলনায় তালুকদার আব্দুল খালেক।


খুলনা সিটিতে ভালো অবস্থানে থাকলেও বিরোধীরা বসে নেই। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী তালুকদার আবদুল খালেক মেয়র পদে ১ লাখ ৭৬ হাজার ৯০২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হলেও বিএনপির প্রার্থী নজরুল ইসলাম মঞ্জুরেরও ভোট ছিল ১ লাখ ৯ হাজার ২৫১।


বিএনপিবিহীন ভোটে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতা করে প্রার্থী দেওয়ার গুঞ্জন উড়িয়ে জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, পাঁচ সিটিতেই লাঙ্গলের প্রার্থীরা জয়ের জন্য শেষ পর্যন্ত লড়বে। কিন্তু ভোটাররা প্রশ্ন করছে– ‘আমরা ভোট দিতে পারব? আমরা ভোট দিলে তা গণনা হবে? নাকি আওয়ামী লীগ নিজের প্রার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করবে?’ তিনি বলেন, এটাই হলো বাস্তবতা।


আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, ‘নির্বাচন আরও বেশি প্রতিযো‌গিতামূলক হোক, এটা আমরা প্রত্যাশা ক‌রি। বিএনপি অগণতা‌ন্ত্রিক পথ ছেড়ে দিয়ে য‌দি গণতা‌ন্ত্রিক পথে ভোটে আসে, তাহলে আমরা তাদের স্বাগত জানাব।


‘কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে, কেউ আবার নির্বাচনে ভয় পেয়ে বর্জনও করতে পারে- আত্মসম্মান রক্ষার জন্য। কাজেই এই ভয়ের ক্ষেত্রে কোনো ভূ‌মিকা রাখতে পারব না বলে আমরা দুঃখিত।’


সব দল অংশ না নিলেও ভোট যদি অবাধ ও সুষ্ঠু হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।


সম্প্রতি ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ২০১২ সাল থেকেই বিএনপি ঘোষণা দিয়ে সরকার পতনের আন্দোলন করে আসছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনও ক্ষমতায় আছেন। তাই বিএনপির আন্দোলন নিয়ে কথা বলার কিছু নেই। সংবিধান অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। যারা নির্বাচনে অংশ নেবে না তারাই সংকটে পড়বে।


গত ৩ জুন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের শেষ পর্যায়ের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।


বিএনপিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সেইফ এক্সিট চাইলে নির্বাচনে আসুন। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে সেইফ এক্সিট কারা নিবে জনগণই তা নির্ধারণ করবে।


নির্বাচনে অংশ না নিলে অপ্রাসঙ্গিক হতে পারে বিএনপি জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বিবার্তাকে বলেন, এটা তো আমাদের ঘোষিত সিদ্ধান্ত যে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে আমরা কোন নির্বাচনে যাবো না। সেই কারণে আমরা স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও অংশগ্রহণ করি নাই।


দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর অংশগ্রহণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কোনো উদ্যোগ নেবে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশন কোনো ব্রোকারেজের (দালালি) কাজ করতে পারবে না। তবে কোনো দল সহযোগিতা চাইলে তাদের জন্য কমিশনের দরজা খোলা থাকবে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনের প্রতিনিধি দলের সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা জানিয়েছিলেন।


একইসঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসনের পরামর্শ দেন তিনি।


ভোটে দলগুলোর অংশ নেয়া একটি রাজনৈতিক ইস্যু উল্লেখ করে কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা কোনো উদ্যোগ নেব না। এটা রাজনৈতিক ইস্যু। কোনো সংকট থেকে থাকলে দলগুলো আলোচনার মাধ্যমে নিরসন করবে। আমরা ব্রোকারেজ করব না, করতে পারব না।


‘আমরা ওপেনলি আহ্বান করে যাব। আমাদের দরজা খোলা আছে। কোনো পার্টি সহযোগিতা চাইলে আমরা সব সময় প্রস্তুত আছি। আমাদের তরফ থেকে যেসব সহযোগিতা দেয়া দরকার, সেগুলো আমরা করে যেতে পারব।’


বর্তমান ৫ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ নিয়ে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে। দায়িত্ব গ্রহণের পর নিবন্ধিত সবগুলো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপের আয়োজন করে। তারই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে সংলাপের আমন্ত্রণ করে। গত ১৭ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। নিবন্ধিত ৩৯টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল সংলাপে অংশগ্রহণ করে। দুটি দলকে আবেদনের ভিত্তিতে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সংলাপে অংশ গ্রহণের জন্য সময় দেওয়া হয়েছে। ৯টি দল প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে সংলাপে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত ছিল।


বিবার্তা/সানজিদা/রোমেল/এসবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com