
যুক্তরাষ্ট্র-তো বটেই, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতি বিশ্বের কারোরই কোনো সমর্থন নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, অন্তত আন্তর্জাতিকভাবে এ নিয়ে আর কিছু বলার সুযোগ নেই বিএনপির। কাজেই নতুন ভিসানীতি তাদের ওপর বড় চাপ তৈরি করেছে।
সোমবার (২৯ মে) তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ভিসানীতিতে বলা হয়েছে, এটি সরকারি ও বিরোধী— দুই দলের জন্যই। কেউ যদি নির্বাচনে বাধা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে। নির্বাচনে বাধা দেয়া হতো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়াই। আর নির্বাচন প্রতিহত করা তো সংঘাত তৈরি করা। কাজেই এগুলো তো বিএনপি করতে পারবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়ে বিএনপির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছিল। তারা বলেছে, এটি নিয়ে তাদের কোনো মাথা ব্যথা নেই। তারা বাংলাদেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন চাচ্ছে।
বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন ভিসানীতি নিয়ে প্রতিনিয়তই অনেক আলোচনা হচ্ছে। বিএনপির ভাষায়, এটি বর্তমান সরকারের জন্য লজ্জাজনক। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এতে অর্থপাচার কমে আসবে— এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভিসানীতি ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে একটি স্বচ্ছ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করতে চাচ্ছে, এটি তার জন্য সহায়ক হবে। সরকারের পক্ষ থেকেও সেভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। আমি মনে করি, বিএনপির জন্য বড় চাপ তৈরি করেছে এই ভিসানীতি। কারণ এখন আর নির্বাচন প্রতিহতের ঘোষণা দিতে পারবে না তারা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন দিয়ে শুরু করেছি’ তাহলে কী আগের নির্বাচনগুলো সুষ্ঠু হয়নি; এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আগেরগুলোও সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। গাজীপুরেরটি যেহেতু খুবই সাম্প্রতিক, সে কারণে এই নির্বাচনের উদাহরণ টেনেছেন তিনি।
মার্কিন ভিসানীতির পর বিএনপি বলেছে যে নির্বাচন প্রতিহতের পথে তারা যাবে না। তারা অন্য কোনো পদ্ধতিতে সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পথ বের করবে— এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির এই বক্তব্যেই স্পষ্ট যে এই ভিসানীতির কারণে বিএনপির ওপর বিরাট চাপ তৈরি হয়েছে। তারা প্রতিহত, প্রতিরোধ বর্জনের কথা বলতে পারছে না।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএনপির কর্মসূচি সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তাদের এসব কর্মসূচি একেবারেই গতানুগতিক। তারা কিছুক্ষণ হাঁটে, কিছুক্ষণ বসে, তারপর কিছুক্ষণ গাড়িঘোড়া পোড়ায়। এখন তারা হয়ত দৌড়ানোর কর্মসূচি দেবে।
বিবার্তা/কেআর
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
পদ্মা লাইফ টাওয়ার (লেভেল -১১)
১১৫, কাজী নজরুল ইসলাম এভিনিউ,
বাংলামোটর, ঢাকা- ১০০০
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]