খাদ্যপণ্য মজুদ থাকলে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে কেন, প্রশ্ন মোশাররফের
প্রকাশ : ১৩ মার্চ ২০২৩, ১৪:৩২
খাদ্যপণ্য মজুদ থাকলে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে কেন, প্রশ্ন মোশাররফের
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, খাদ্যপণ্য মজুদ থাকলে বাজারে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে কেন- এ ব্যাপারে সরকার স্পষ্ট জবাব দিক। ১৩ মার্চ, সোমবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসন কার্যালয়ে জিয়া পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। ‘মৃত্যুকুপে ধাবমান বাংলাদেশ’ নামে দুই গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল কুদ্দুস।


'প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া জনসাধারণকে আতঙ্কিত হয়ে কেনাকাটা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন' এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পত্রিকায় এসেছে- জিনিষপত্রের দাম হু হু করে বাড়ছে। রমজান মাসে মানুষ কিভাবে চলবে তা ভেবে দিশেহারা। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় থেকে আশ্বস্থ করা হয়েছে- দেশে নাকি নিত্যপণ্যের মজুদ প্রচুর আছে। জনগণকে বলেছে- আতঙ্কিত হয়ে বেশি কেনাকাটা করবেন না। যদি এত মজুদ থাকে তাহলে কেনাকাটা করলে অসুবিধা কোথায়। আসলে কেনাকাটাইতো করতে পারছে না। বাজারের অবস্থা কি!


'চিনির দাম ১২০ টাকা, গরুর মাংস ৮শ টাকা। গরু ও মুরগির মাংস ভাগ করে কেনাকাটা করার রেওয়াজ এই দেশে ছিল না। ইলিশ মাছ কেটে দুইশ, আড়াইশ গ্রাম করে কেনার রেওয়াজ ছিল না। আজকে কিন্তু বাজারে তা দেখা যাচ্ছে। তাতে যদি সরকার বলে সবকিছু মজুদ আছে। কি রকম চাপাবাজি করছে সরকার! বাজারে গিয়ে দেখেন মানুষ কি পরিমাণ সরকারকে গালাগালি করে। আজকে গরীব মানুষ কিন্তু অর্ধাহারে আছে। এরপরও এই সরকার চাপাবাজি করছে। আমরা জানতে চাই- এই খাদ্যপণ্য যদি এতই মজুদ থাকে তাহলে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে কেন সরকার সুষ্পষ্ট জবাব দিক।'


এই দাম বৃদ্ধির সঙ্গে যোগ হয়েছে মূল্যস্ফিতি উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেখেন মূল্যস্ফীতির অবস্থা- গত জানুয়াতিতে মূল্যস্ফীতি ছিল ৬.১৭। ফেব্রুয়ারিতে তা বেড়েছে ৮.৭১। এরপর আরও বৃদ্ধি হবে। এই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার।


কেন এটা হচ্ছে- এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, কারণ, সরকারের যারা ব্যবসায়ী, সিন্ডেকেট- মন্ত্রী- নেতা- ব্যবসায়ীরা জনগণের টাকা লুট করার জন্যই এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। সরকার সিন্ডিকেটের মাধ্যমে মেগা প্রজেক্ট করে লুটপাট করছে, ব্যাংক লুট করছে। যাদেরকে ঋণ দিয়েছে তাদের কোনো পরিচয় নাই। তাদের লোক বলে ঋণ দিয়েছে। এই লুটপাটের কারণে অর্থনীতি এখন ধ্বংস।


খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিদ্যুতের দামও প্রতি মাসে বাড়ানো হচ্ছে। কিসের জন্য? ইনডেমনিটি দিয়ে সরকার বিদ্যুৎ সেক্টরের লুটারাদের রক্ষা করেছে। সরকারের লোকদের টাকা পাচার ও দুর্নীতিকে ব্যাকআপ দেওয়ার জন্য বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জিয়া পরিষদের ডা. আবদুল কুদ্দুস, মহাসচিব ড. এমতাজ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান প্রমুখ।


বিবার্তা/কিরণ/এমএ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com