বিডিআর বিদ্রোহের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতায় আঘাত করা হয়েছে: ফখরুল
প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:০৬
বিডিআর বিদ্রোহের মধ্যদিয়ে স্বাধীনতায় আঘাত করা হয়েছে: ফখরুল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

বিডিআর বিদ্রোহের মধ্যদিয়ে দেশের স্বাধীনতায় আঘাত করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনাকে সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্র মন্তব্য করে তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এদেশের বিরুদ্ধে, জাতির স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ একটি চক্রান্ত, একটি ষড়যন্ত্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল । দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই ঘটনার মধ্য দিয়ে আমাদের নিরাপত্তা রক্ষাব্যবস্থা, সার্বভৌমত্ব, আমাদের স্বাধীনতা প্রচণ্ডভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল।


২৫ ফেব্রুয়ারি, শনিবার রাজধানীর বনানীর সামরিক কবরস্থানে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিহত সেনা কর্মকর্তাদের কবরে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মুক্তিযুদ্ধের সময়ও এত সেনা কর্মকর্তাকে হারাতে হয়নি মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, এদের উদ্দেশ্য ছিল আমাদের গর্ব সেনাবাহিনীর মনোবলকে ভেঙে দেয়া।


আমাদের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বকে রক্ষার জন্য যারা তাদের প্রাণ উৎসর্গ করে শপথ নিয়েছেন তাদের সম্পূর্ণ নৃশংসভাবে, অন্যায়ভাবে, বেআইনিভাবে, পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। এর পেছনে যারা রয়েছেন তাদের বের করে নিয়ে আসার যে তদন্ত প্রক্রিয়া হওয়া উচিত ছিল সেটা দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখানে সংযুক্ত হয়নি।


২৫ ফেব্রুয়ারি বাঙালি জাতির জীবনে অত্যন্ত দুঃখজনক ও কলঙ্কজনক একটি দিন উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই দিনে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে বিদ্রোহের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত নৃশংসভাবে তাদের পরিবার পরিজনসহ হত্যা করা হয়েছে। একটি ভয়াবহ নৃশংস ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করা হয়। এসব সেনা কর্মকর্তা আমাদের দেশের সম্পদ ছিলেন।


'আজকের দিনে তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। পরম করুণাময় আল্লাহ তায়ালা কাছে দোয়া চাইছি- তিনি যেন তাদের সবাইকে বেহেশত নসিব করেন। এছাড়া অন্যান্য সেনা কর্মকর্তা, বিডিআর কর্মকর্তা যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতিও আমরা গভীর শ্রদ্ধা এবং তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।'


ফখরুল বলেন, এই ঘটনায় যেভাবে তদন্ত হওয়ার দরকার ছিলো, সেটি হয়নি। পত্র-পত্রিকায় দেখেছি, সেনাবাহিনী একটা তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলো- সেটার পূর্ণাঙ্গ যে চেহারা তা পাল্টিয়ে দেয়া হয়েছিলো। পরবর্তীকালে যে বিচারের ব্যবস্থা হয়েছে সেখানে আমরা দেখেছি হত্যা ও বিস্ফোরণের বিচার হয়েছে। কিছু মানুষকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। আবার কিছু মানুষকে যাবতজীবন কারাদন্ড, বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।


তিনি বলেন, প্রায় সাত হাজারের মতো সৈনিক যারা অনেকেই সম্পূর্ণভাবে নির্দোষ দাবি করেন, এখন পর্যন্ত তাদের মামলার শুনানি শেষ করা হয়নি। কারাগারে তারা ১৩/১৪ বছর ধরে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন। তাদের পরিবার এবং সমস্ত ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমি আজকে দাবি করব, তাদের বিরুদ্ধে যে জুডিশিয়াল সমস্যাগুলো রয়েছে তা অতি দ্রুত সম্পাদন করে এদের একটা ব্যবস্থা করা উচিত, তাদের মুক্তি হওয়া উচিত।


তাদের পরিবারগুলোকে একটি স্বাভাবিক জীবন যাপন করার ব্যবস্থা করবেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীরপ্রতীক, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) ফখরুল আজম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জহুরুল আলম, লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ কামরুজ্জামান, মেজর (অব.) মো. হানিফ, মেজর (অব.) মিজানুর রহমান, মেজর (অব.) নিয়াজ আহমেদ জাবের, মেজর (অব.) কোহিনূর আলম নূর প্রমুখ।


বিবার্তা/কিরণ/এমএ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com