বিএনপি এখন ভাঙনের মুখে: হানিফ
প্রকাশ : ৩০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৭:৪৬
বিএনপি এখন ভাঙনের মুখে: হানিফ
(ফাইল ছবি)
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের কারণে বিএনপি এখন ভাঙন, সংকটের মুখে পড়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।


সোমবার (৩০ জানুয়ারি) বিকাল ৩টায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন হানিফ।


মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, বিএনপি এখন ভাঙন, সংকটের মুখে পড়ে গেছে। বিএনপি নেতাকর্মীরা জানে দুর্নীতিবাজ এই দুই শীর্ষ নেতার নেতৃত্বে এ দেশে নির্বাচন করে ক্ষমতায় আসা যাবে না। ভবিষ্যতে যদি দলকে টিকিয়ে রাখতে হয় তাহলে দুর্নীতিবাজ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে বিএনপি গঠন করতে হবে। এটা বিএনপির বেশিরভাগ নেতা মনে করে। আর এজন্য বিএনপির মধ্যে ভাঙনের সুর পাওয়া যাচ্ছে এবং সেজন্য মির্জা ফখরুল এখন সরকারের ওপর দোষ চাপাতে চায়।


তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো দল ভাঙায় বিশ্বাসী নয়, জোট ভাঙায় বিশ্বাসী নয়। জোট এমনি ভেঙে যাবে। দল থাকবে কি না সেটা নিয়ে আপনারা মাথা ঘামান।


সরকার জোট ভাঙার চেষ্টা করছে- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের এমন মন্তব্যের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, কীসের জোট? ৪০ দল না কত দল দিয়ে নাকি জোট হয়েছে। ঢাল, তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। যাদের ১০টা মানুষ নেই, কর্মী নেই তাদেরকে নিয়ে জোট করে বিএনপি স্বপ্ন দেখে। তাদের জন্য নাকি সরকারের ঘুম হারাম হয়ে যাচ্ছে, এসব বলে কর্মীদের সান্ত্বনা দিচ্ছে।



তিনি বলেন, ফখরুল সাহেবকে বলতে চাই, আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশের সবচেয়ে বৃহৎ রাজনৈতিক শক্তি। পিপীলিকা নিয়ে গড়া জোট ভাঙার জন্য আওয়ামী লীগের কোনো মাথাব্যাথা নেই। জোট আওয়ামী লীগের ভাঙা লাগবে না, আপনার দলই ভাঙনের মুখে পড়বে যদি আগামী নির্বাচনে অংশ না নেন। আপনার দল অস্তিত্ব সংকটে পড়বে। মির্জা ফখরুল এসব বলতে সাহস পান না।


বিএনপি দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে সরকার পরিবর্তন করতে চায় উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপি নেতারা জানে বৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার সুযোগ নেই। ক্ষমতায় থাকতে তারা যে লুটপাট, দুর্নীতি করেছে তার জন্য মানুষ তাদেরকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে। দুর্নীতির কারণে দেশের মানুষ তাদের থেকে ঘৃণাভরে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তাই নির্বাচনে জয়লাভ সম্ভব নয়, এটা তারাও জানে। আর এজন্য তারা ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসতে চায়।


হানিফ বলেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট এই বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে, আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের দয়ায় শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও আমরা আওয়ামী লীগের ২৪ জন নেতাকর্মী হারিয়েছিলাম।


তিনি বলেন, বিএনপি নামক দলটির নেতারা আজ কথায় কথায় গণতন্ত্র, মানবাধিকার, আইনের শাসনের কথা বলেন। তখন কোথায় ছিল গণতন্ত্র, মানবাধিকার। তখন আইনের শাসনকে আপনারা ভূলুণ্ঠিত করেছিলেন।


আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি-জামায়াত বাংলাদেশের অপরাজনৈতিক শক্তি। তারা গণতন্ত্র, স্বাধীনতাবিরোধী। তারা আইনের শাসনে বিশ্বাস করে না। তাই সন্ত্রাস, নাশকতা করে দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে চায়।


হানিফ বলেন, এই বিএনপির দুই শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়া, তারেক রহমান। দুর্নীতি, হত্যা ও সন্ত্রাসের কারণে একজন কারাগারে আর আরেকজন বিদেশে পলাতক। যে দলের নেতা মুচলেকা দিয়ে পালিয়ে যায়, সে দলের প্রতি মানুষের আস্থা থাকতে পারেন না। তাদের নেতাকর্মীদেরও আস্থা নেই।


বিএনপির আন্দোলন আন্দোলন খেলা ১০ ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা আন্দোলন, আন্দোলন বলে নেতাকর্মীদের অনেক উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন, দেশের মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করছেন। সেই আন্দোলন, আন্দোলন খেলা ১০ ডিসেম্বর শেষ হয়ে গেছে।


হানিফ বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী হবে। অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে সেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিন।


কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।


শান্তি সমাবেশে অংশ নিয়ে বক্তব্য রাখেন সংসদ উপনেতা ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম ও মহিলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি প্রমুখ।


শান্তি সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির।


বিবার্তা/সোহেল/এসবি/এসএফ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com