রাজনীতি
ছাত্রলীগের গৌরব ও ঐতিহ্যে ৭৫ বছর
প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ২১:২২
ছাত্রলীগের গৌরব ও ঐতিহ্যে ৭৫ বছর
মহিউদ্দিন রাসেল
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ৪ জানুয়ারি, বুধবার। ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের অ্যাসেম্বলি হলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরপর ভাষা আন্দোলন, ছয় দফা, গণঅভ্যুত্থান, মহান মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সঙ্কটে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রেখেছে সংগঠনটি।


গৌরব ও ঐতিহ্যে ৭৪ বছর পার করা এই সংগঠনটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দৃশ্যমান, লক্ষ্য এবার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ’- এই প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে বছরব্যাপী নানা কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। ৩ জানুয়ারি, মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।


এসময় লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৪ জানুয়ারি সকাল ৬টায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। এদিন সকাল সাড়ে ৮টায় ধানমন্ডিস্থ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন, সকাল ৯টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন ও বিকেল ৩টায় শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করবে ছাত্রলীগ।


ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ শোভাযাত্রার বিষয়ে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের জ্যাম, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাসহ নানা বিষয় মাথায় রেখে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আনন্দ শোভাযাত্রা আমরা আগামী ৬ জানুয়ারি, শুক্রবার দুপুর আড়াইটায় করব। আর ৫ থেকে ৮ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয়, স্বেচ্ছায় রক্তদান ও সংগৃহীত রক্ত বিতরণ এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হবে।


এসময় বছরব্যাপী নানা কর্মসূচিরও ঘোষণা দেয়া হয়। যা পরবর্তীতে সুবিধাজনক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান সাদ্দাম হোসেন। কর্মসূচির মধ্যে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত অনাবাদি জমিতে শাক সবজি-ফল চাষ, মাছ ও গৃহপালিত পশুপালন ইত্যাদি উদ্যোগ গ্রহণ। প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ঐক্যবদ্ধ ছাত্রসমাজ শীর্ষক মতবিনিময় সভা পরিচালনা, Concert For Smart Bangladesh আয়োজন করা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পুনর্মিলনী করা।


এছাড়াও কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫ বছর শীর্ষক স্মারক গ্রন্থ প্রকাশ, Smart Bangladesh Idea Contest আয়োজন, সকল সাংগঠনিক ইউনিটের দলীয় কার্যালয়ে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে দেশব্যাপী বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে স্মার্ট বাংলাদেশের প্রাসঙ্গিকতা' শীর্ষক প্রতিযোগিতা ও জাতীয়ভাবে Smart Youth Camp' আয়োজন, শেখ হাসিনার উন্নয়ন অগ্রযাত্রা নিয়ে 'Short Film Competition আয়োজন করা, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে 'Development Quiz' আয়োজন, নারী শিক্ষার্থীদের নিয়ে নারীর ক্ষমতায়ন ও শেখ হাসিনা' শীর্ষক বক্তব্য প্রতিযোগিতা, Sajeeb Wazed Joy Programming Contest আয়োজন, 'স্মার্ট বাংলাদেশ' ও 'স্মার্ট ক্যাম্পাস' এর উপর আন্তর্জাতিক একাডেমিক কনফারেন্স, 'স্মার্ট বাংলাদেশ' অলিম্পিয়াড, দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরস্কারপ্রাপ্ত মেধাবী শিক্ষার্থীদের সাথে চা চক্র, "Smart Bangladesh: Our Country, Our Dream' শীর্ষক পোস্টার প্রেজেন্টেশনসহ অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হবে।


সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বিবার্তাকে বলেন, সময়ের প্রয়োজনে আজ থেকে ৭৫ বছর পূর্বে বাঙালির হাজার বছরের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা ও মুক্তির মহান নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, বর্তমানেও সেই ছাত্রলীগ প্রতিটি প্রয়োজনে নিজের সর্বোচ্চটুকু বিলিয়ে দেয়ার ব্রতকে ধারণ করে পথ চলছে। এদেশের প্রতিটি প্রজন্মে, প্রতিটি তারুণ্যে, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর অনুভূতিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ শ্রেষ্ঠতম স্থানে অবস্থান করেছে, এবং আগামীতেও অবধারিতভাবে করবে। তাই, ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করে দেশরত্ন শেখ হাসিনার পরিকল্পিত 'স্মার্ট বাংলাদেশ' এর নেতৃত্ব দিবে ছাত্রলীগ, ৭৫তম বর্ষপূর্তিতে এটিই আমাদের সংকল্প।


ছাত্রসমাজকে আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা লেখাপড়া করছেন, সবার প্রতি আমাদের প্রত্যাশা থাকবে- জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের যে আদর্শ-সংগ্রাম দিয়ে গেছেন, যে উদার, মানবিক, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কথা বলেছেন, যে সমতাভিত্তিক ও শোষণমুক্ত সমাজের কথা বলেছেন, সোনার বাংলা ও সোনার মানুষ হওয়ার কথা বলেছেন, আমরা যেন সেই চেতনা কখনো ভুলে না যাই। আর আমরা যেন কখনো ভুলে না যাই- আমরা লাখো শহিদের রক্তের উত্তরাধিকার, যারা নিজের জীবন বাজী রেখে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ গড়তে জীবন দিয়েছেন।


সাদ্দাম বলেন, আমরা যেন ভুলে না যাই বঙ্গবন্ধুতনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনা ২১ বার হত্যা চেষ্টার শিকার হওয়া সত্ত্বেও, বুলেট-গ্রেনেড হামলার শিকার হওয়া সত্ত্বেও, নিজের জীবনকে পরোয়া না করে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আজকে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছেন। শুধু তাই নয়, তিনি আমাদের উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছেন। আমাদের সব ছেলে মেয়েদের শিক্ষার আওতায় এনেছেন। আমরা যাতে বিশ্বের মানচিত্রে জায়গা করতে পারি, সেই বাস্তবতাও তৈরি করেছেন তিনি। জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, মেডিকেল তৈরি করেছেন। আমাদের প্রাথমিক-মাধ্যমিকে ছেলে মেয়েদের সমতা তৈরি করেছেন। কাজেই এই বাস্তবতাকে অনুধাবন করে আগামী দিনে দেশরত্ন শেখ হাসিনার প্রশ্নে আমরা এক, স্মার্ট বাংলাদেশের প্রশ্নে আমরা এক, মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশের প্রশ্নে আমরা এক এবং জাতির পিতার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার প্রশ্নে বাংলাদেশের প্রত্যেকটি তরুণের একতাভিত্তি অনুভব করি।



ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান বিবার্তাকে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাংলাদেশ রাষ্ট্র গড়ার সংগ্রামে প্রধান হাতিয়ার, স্বাধীকার থেকে স্বাধীনতার প্রতিটি পর্বে নেতৃত্ব দান ও আত্মদানকারী শহিদের রক্তস্নাত সংগঠন, বাংলার ছাত্রসমাজ ও তরুণ প্রজন্মের অস্তিত্ব ধারণকারী, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের স্বপ্নসারথি, সমৃদ্ধ-উন্নত-আধুনিক-স্বনির্ভর 'স্মার্ট বাংলাদেশ এর কারিগর, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার স্নেহধন্য সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ছাত্রসমাজ, কিশোর-তরুণ-যুব প্রজন্ম, শিক্ষক অভিভাবক, সুধিজন ও সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত সবাইকে জানাই অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।


তিনি বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সংগঠন। আর দেশরত্ন শেখ হাসিনা আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবক। শিক্ষা, শান্তি, প্রগতির পতাকাবাহী এই সংগঠনটির সৃষ্টির শুরু থেকে তার কর্মচাঞ্চল্যতার মাধ্যমে এদেশের শিক্ষার্থীদের নির্ভরতা ও আস্থার ঠিকানায় পরিণত হয়েছে। অতীতের এই ধারা অক্ষুুন্ন রেখে গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ধারা বজায় রেখে বঙ্গবন্ধু স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুতনয়া দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নিরলসভাবে কাজ করে যাবে ছাত্রলীগ। আর এটাই হোক প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমাদের শপথ।


যেভাবে প্রতিষ্ঠা হলো বাংলাদেশ ছাত্রলীগ-


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ করার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি না হয়ে ঢাকায় ফিরে আসেন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এলএলবি প্রথম পর্বে ভর্তি হন। ঢাকায় ফিরে আসার প্রধান কারণ- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্বাস করতেন নেতাজী, শেরে বাংলাদের সাইডলাইনে পাঠিয়ে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, জওহরলাল নেহরু, মহাত্মা গান্ধী, লর্ড মাউন্ট ব্যাটেনরা যেভাবে ভারতবর্ষ ভাগ করে পাকিস্তান নামক অবাস্তব রাষ্ট্র বানিয়ে দিলো, তা বাঙালির জন্য নয়। ১২০০ মাইলের ব্যবধানে দুটি ভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি, অর্থনীতির দুই দেশ, এক অবাস্তব রাষ্ট্র। এটি টিকে থাকতে পারে না। তিনি তাঁর বন্ধুদেরও বলেছিলেন যে, পাকিস্তানের জন্ম আমাদের জন্য নয়, আমাদের আবার লড়াই করে নিজেদের জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তাই ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি।


তারুণ্যের শক্তি অজেয় অপ্রতিরোধ্য। তাদের পিছুটান নেই। বঙ্গবন্ধু নিজেও তখন তরুণ। কাজেই তরুণদের সংগঠন দরকার। তিনি তরুণদের সংগঠিত করতে থাকলেন এবং ঢাকায় ফিরে আসার ছয় মাসের মাথায় ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক হলের এ্যাসেম্বলিতে তখনকার একঝাঁক সাহসী তরুণদেরকে নিয়ে ‘পূর্ব পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ’ গঠন করেন। প্রথমদিকে অবশ্য মুসলিম শব্দটি ছিল। পরে ছাত্রলীগকে অসাম্প্রদায়িক সংগঠন হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে মুসলিম শব্দটি বাদ দেয়া হয়।


ছাত্রলীগ যখন প্রতিষ্ঠা করা হয় তখন বঙ্গবন্ধুর বয়স ছিল ২৮ বছর এবং তিনিই হতে পারতেন এর সভাপতি। কিন্তু না, তিনি হননি। তিনি প্রথম আহ্বায়ক নির্বাচিত করেন নাঈমুদ্দিন আহমদকে। এরপর যখন ছাত্রলীগ রাজপথে কার্যক্রম শুরু করে তখন সভাপতি মনোনীত করা হয় দবিরুল ইসলামকে। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয় খালেক নেওয়াজ খানকে। জন্মলগ্ন থেকেই ভাষার অধিকার, শিক্ষার অধিকার, বাঙালির স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠা, দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান, সর্বোপরি স্বাধিকার ও স্বাধীনতার সংগ্রামসহ বিভিন্ন সঙ্কটে সবচেয়ে সফল সাহসী ভূমিকা রেখেছে সংগঠনটি। বস্তুত এই ছাত্রলীগের সবকিছুতেই ছিলেন সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর শাহাদাতের পর আওয়ামী লীগের মতো ছাত্রলীগেরও হাল ধরেন তাঁরই কন্যা বর্তমান প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনা।


বিবার্তা/রাসেল/রোমেল/জেএইচ


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com