ভবটিতে সব মিলিয়ে সাতটি রুম। ৯ ফুট প্রস্থের এসব রুমে দুজন থাকার মতো বিছানা। আর প্রতিটি রুমেই আছে বাথরুম। জাভার স্থানীয় লোকজনের ভাষায় ‘পিতু’ অর্থ সাত। ভবনে রুম যেহেতু সাতটি, তাই হোটেলের নামও—পিতুরুমস।
সালাতিগা শহরটি মেরবাবু পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত। পিতুরুমসের অতিথিরা হোটেল থেকেই এই পাহাড়ের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। এ ছাড়া হোটেলে একটি রুফটপ রেস্তোরাঁও আছে। হোটেলে না থাকলেও পর্যটকেরা রেস্তোরাঁয় খেতে যেতে পারেন। এসবের পাশাপাশি নানা বিষয়ে আয়োজন ও শিল্প প্রদর্শনীর কথাও ভাবছে পিতুরুমস।
সচরাচর এমন কিম্ভূত সরু আকারের জমিতে কেউ ভবন নির্মাণ করার কথা ভাবেন না। কিন্তু আরি ইন্দ্রা সেই জায়গাই বেছে নিলেন তাঁর স্বপ্নের হোটেল গড়তে।
কারণ, তিনি ব্যতিক্রমী কিছু করার মাধ্যমে তাঁর জন্মস্থান ইন্দোনেশিয়ার সালাতিগা শহরকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করাতে চান। সেই ভাবনা থেকে নিজেই নকশা করে নির্মাণ করলেন পাঁচতলা একটি ভবন।
গত বছর চালু হওয়া পিতুরুমস এখন পৃথিবীর সবচেয়ে সরু হোটেলের দাবিদার। আরি ইন্দ্রা সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘মানুষ এখন “সবচেয়ে”র দিকে খুব আকৃষ্ট হয়। সবচেয়ে বড়, সবচেয়ে লম্বা, সবচেয়ে বিলাসবহুল…তাই আমরা গড়েছি সবচেয়ে সরু হোটেল।’
স্থাপত্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে আরি ইন্দ্রা কাজ করেছেন ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা এবং সিঙ্গাপুরে। এরপর ফিরে যান তাঁর শহর সালাতিগায়। জাকার্তা থেকে ৩০০ মাইল দক্ষিণ-পূর্বের সালাতিগা শহর একসময় ডাচদের প্রিয় ভ্রমণ গন্তব্য ছিল। এখন অবশ্য বিদেশি পর্যটকদের আনাগোনা তেমনটা নেই। ইন্দ্রার প্রত্যাশা, পিতুরুমসের মতো আরও অনেক প্রকল্প গড়ে উঠবে তাঁর শহরে। বিদেশিদেরও পদচারণ বাড়বে ধীরে ধীরে।
ইন্দ্রা যেমনটি বলেন, ‘আমি চাই, মানুষ সালাতিগাকে অন্যভাবে উপভোগ করুক। আমি আমার টিম নিয়ে পিতুরুমস পরিচালনা করছি। আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, যাতে পর্যটকেরা স্থানীয় সমাজ ও সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসতে পারেন।’
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]